বরিশাল নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ও পূজামণ্ডপ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ঝলমলিয়ে উঠেছে। সন্ধ্যা নামলেই বাহারি আলোকসজ্জা মুগ্ধ করছে নগরবাসীকে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে নগরীতে আলোয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পায়রা সেতু।
করোনাকাল কাটিয়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের এই বড় ধর্মীয় উৎসব উদযাপনে এবার কমতি রাখতে চায় না আয়োজকরা। পূজা ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বেশ কঠোর বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
নগরীর সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ শ্রী শ্রী শংকর মঠ পূজা উদযাপন কমিটির সহ-সাধারণ সম্পাদক সবুজ দাস বলেন, ‘করোনার প্রকোপ কাটিয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় অনেকটাই ফিরেছি আমরা। তাই এ বছর বড় ভাবে পূজা উদযাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।
‘আধুনিক লাইট দিয়ে মূল মন্দির সাজানো হয়েছে। এছাড়া মন্দিরের মধ্যের ও বাইরের প্রায় আধা কিলোমিটার সড়কে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পুকুরের মধ্যে টিউবলাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে পায়রা সেতু। পাশাপাশি এলইডি লাইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে দুইটি বিশাল তোড়ন।’
আলোকসজ্জা দেখতে বের হয়েছেন স্থানীয় শ্রাবন্তী নন্দী। তিনি বলেন, ‘দুর্গাপূজা এলে পুরো নগরীর সড়ক আলোতে ঝলমল করে ওঠে। আর সেই ঝলমলে নগরী দেখতেই পরিবার নিয়ে বের হয়েছি।
‘৬টি পূজামণ্ডপের আলোকসজ্জা ঘুরে দেখেছি রিকশায় চড়ে। নতুন বাজার, অষ্টকোনা মঠ, জগন্নাথ মন্দির, শংকর মঠ, কাটপট্রি চার্চওয়ার্ড ও পাষানময়ী কালিমাতার মন্দিরে ঘুরেছি।’
পূজা শুরুর আগেই মণ্ডপগুলোতে টহল জোড়দার করা হয়েছে জানিয়ে মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, ‘বন্দর ও কোতোয়ালি মডেল থানা এলাকা মিলিয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পূজামণ্ডপ আছে ১১টি। সেগুলোতে ৫ জন করে স্থায়ী পুলিশ থাকবে। পাশাপাশি পুলিশ সদস্যদের সহায়তা করবে আনসার সদস্যরাও।’
তিনি বলেন, ‘মহানগরের সব পূজামণ্ডপেই মোবাইল টিম থাকবে। পাশাপাশি সাদা পোশাকধারী পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবে। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছি।’
বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জেলা পুলিশের থানাগুলোর আওতায় ৫৩২টি পূজা মণ্ডপে পূজা নির্বিঘ্ন করতে এসব মণ্ডপগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনায় স্থায়ীভাবে মোট ৬০০ পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবে।
‘কেউ যদি পূজামণ্ডপে অরাজকতা করার চেষ্টা করে তাহলে তা কঠোর হাতে দমন করা হবে।’