বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বীরের বেশে পাহাড়ে চারকন্যা

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:২৬

সাফজয়ী মনিকা চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে খেলার মানসম্পন্ন মাঠ নেই। আবাসিক ব্যবস্থাসহ যদি একটি খেলাপযুগী মাঠ করা হয় তাহলে আগামিতে আরও খেলোয়াড় পাহাড় থেকে জাতীয় দলে স্থান করে নেবে।’

বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্ণামেন্ট থেকে বয়স ভিত্তিক ফুটবল। পরে জাতীয় দল হয়ে সাফ জয়!

বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের সব গৌরব গাঁথায় যেন অংশীদার হয়ে আছে পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়ি।

সবশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর হিমালয়ের দেশ নেপালে সাফ ফুটবলের আসরে বিজয়ী বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন খাগড়াছড়ির মেয়ে আনুচিং মগিনী, আনাই মগিনী ও মনিকা চাকমা। আর এই দলটির সহকারী কোচ ছিলেন খাগড়াছড়ির আরেক মেয়ে তৃষ্ণা চাকমা।

দেশে ফিরে নানা আনুষ্ঠানিকতা ও সংবর্ধনা শেষে শুক্রবার সকালে নিজ শহরে পৌঁছান ওই চারকন্যা। এ আগে গত বৃহস্পতিবার রাঙ্গামাটিতেও সংবর্ধনা দেয়া হয় তাদের।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টায় তারা খাগড়াছড়িতে পৌঁছান। পরে জেলা সদরের ঠাকুরছড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে তাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা।

শুধু তাই নয়, চারকন্যাকে নিয়ে বের করা হয় কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ মোটর শোভাযাত্রা। ঠাকুরছড়া থেকে শুরু হয়ে চেঙ্গী স্কোয়ার, শাপলা চত্বর, পানখাইয়াপাড়া, মধুপুর মোড়, শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ প্রদক্ষিণ শেষে শাপলা চত্বর হয়ে শোভাযাত্রা শেষ হয় জেলা স্টেডিয়ামে গিয়ে। পরে সেখানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন তারা।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ক্রীড়াবিদ, সংগঠক ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সংবর্ধনা হলেও তা রূপ নেয় গণসংবর্ধনায়।

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আবু সাঈদের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা, পুলিশ সুপার নাইমুল হক, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শানে আলম ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক জুয়েল চাকমা নিজের অনুভূতির কথা ব্যক্ত করেন।

পরে জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট ও পুরস্কারের চেক বিতরণ করা হয় সাফজয়ী চারকন্যার মাঝে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে জাতীয় ফুটবল দলের খেলোয়াড় মনিকা চাকমা বলেন, ‘খাগড়াছড়ি তথা পার্বত্য চট্টগ্রামে খেলার মানসম্পন্ন মাঠ নেই। আবাসিক ব্যবস্থাসহ যদি একটি খেলাপযুগী মাঠ করা হয় তাহলে আগামিতে আরও খেলোয়াড় পাহাড় থেকে জাতীয় দলে স্থান করে নেবে।’

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা জানান, খাগড়াছড়ির গর্ব আনুচিং ও আনাইয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য একটি সেতু এবং মনিকার বাড়িতে যাওয়ার জন্য রাস্তা তৈরির যে প্রতিশ্রুতি ছিল তা চলতি অর্থবছরেই বাস্তবায়ন করা হবে।

এ বিভাগের আরো খবর