চলতি বছরের প্রথম আট মাসে সারা দেশে ৫৭৪ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। সেই হিসাবে প্রতি মাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৭১ শিশু।
আট মাসে ৩৬৪ কন্যাশিশু একক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার ৮৪ জন। বাদ যায়নি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (প্রতিবন্ধী) ৪৩ কন্যাশিশুও। এ ছাড়া ৮৭ কন্যাশিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত এক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে৷ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত ২৪টি জাতীয়, স্থানীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকা থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
সংগঠনটির হিসাব অনুযায়ী, প্রতি মাসে ৭১ কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হয়। প্রতিদিনের হিসাবে এই সংখ্যা দাঁড়ায় দুইজনের বেশি। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হওয়া সত্ত্বেও এ ধরনের ঘটনা ক্রমেই বেড়ে চলছে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার রাজধানীর প্রেস ক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি এ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেমের অভিনয় ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৪৯ কন্যাশিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ধর্ষণের পর ২০ জনকে হত্যা করা হয়েছে। গত আট মাসে ১৮৬ কন্যাশিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আত্মহত্যা করেছে ১৮১ কন্যাশিশু।
প্রেস ক্লাবে জাতীয় কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সম্পাদক নাসিমা আক্তার জলি পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন তুলে ধরেন। ছবি: নিউজবাংলা
গত আট মাসে ২ হাজার ৩০১ কন্যাশিশুর বাল্যবিয়ে হয়েছে, যা গড়ে প্রতি মাসে দাঁড়ায় ২৮৮ জন৷ এ আট মাসে ৫৮৯ বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়। এই সময়ে পাচার হয়েছে ১৩৬ কন্যাশিশু, যাদের মধ্যে ৭৪ জনকে অপহরণ করা হয়৷
এ ছাড়া যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৩ জন। যৌতুক দিতে না পারায় পাঁচ কন্যাশিশু আত্মহত্যা করে।
অনুষ্ঠানে কন্যাশিশু অ্যাডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ সংগঠনের অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।