বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

  •    
  • ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১২:০২

সদর থানার ওসি বলেন, ‘প্রাথমিক আলামতে ধর্ষণের বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে। তার পরও পুলিশ হেফাজতে ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীর মা একজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

মাদারীপুরে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সদর উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে।

সদর থানায় বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে মামলাটি করেন ‘ভুক্তভোগী’ কিশোরীর মা।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে নিউজবাংলাকে বলেন, আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বাবুল সরদার সদর উপজেলার ছিলারচর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এই ইউনিয়ন থেকে তিনবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি দাবি করেন, সামাজিকভাবে হেয় করতেই তার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষের লোকজন ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সাইফুল তার বাড়ির ওই ভাড়াটিয়ার ঘরে যান। এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ভাড়াটিয়ার ১৪ বছরের বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষণ করেন সাইফুল। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে মেয়েটির মা বাড়িতে এসে মেয়েকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তখন সাইফুল তাকে শ্লালতাহানী করেছেন বলে ইশারায় দেখায়।

পরে মেয়েকে নিয়ে সদর থানায় গেলে সেখান থেকে রাতেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় পরে রাত ১১টার দিকে থানায় মামলা করেন মা।

অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিচার চেয়ে কিশোরীর মা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার প্রতিবন্ধী মেয়েকে জোরপূর্বক বাবুল চেয়ারম্যান ধর্ষণ করেছে। আমরা কেউ বাসায় ছিলাম না। বাসায় আসার পর মেয়েকে উদ্ধার করেছি।

‘আমার মেয়ে ইশারায় বাবুল চেয়ারম্যানের কথা বলেছে। পাশের বাসার এক ভাবিও বাবুল চেয়ারম্যানকে ঘর থেকে বের হতে দেখেছেন। আমি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছি। আমি তার কঠোর বিচার দাবি করি।’

এদিকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই প্রতিপক্ষরা এই ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে বলে দাবি অভিযুক্ত সাইফুল ইসলামের।

মোবাইলে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বারবার জনপ্রতিনিধি হয়েছি। এখন আমাকে ঘায়েল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে। আমি কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না, আগামীতেও থাকব না। আমাকে সমাজে হেয় করার জন্য এসব করা হচ্ছে।’

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি নিরাপত্তার কারণে বাড়িতে নেই। একটি নিরাপদ জায়গায় অবস্থান করছি। সময়মতো সব কিছুর জবাব দেব।’

সদর থানার ওসি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রাথমিক আলামতে ধর্ষণের বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে। তার পরও পুলিশ হেফাজতে ওই কিশোরীকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হচ্ছে। ভুক্তভোগীর মা একজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর