ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লায় আলাদা দুর্ঘটনায় কলেজছাত্রীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে মিয়াবাজার ও চান্দিনার মাধাইয়ায় এসব ঘটনা ঘটে।
বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিয়াবাজার এলাকায় বিজলী সুপার সার্ভিসের একটি বাস সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে কলেজছাত্রী ফাতেমা আক্তার রেবা ও শিশু মিম নিহত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. মোহসিন।
২৪ বছর বয়সী ফাতেমা কুমিল্লার অজিতগুহ কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। তিনি চৌদ্দগ্রামের কালিকাপুর ইউনিয়নের বিজয়পুর গ্রামের মফিজুর রহমানের মেয়ে। তিন বছর বয়সী মিমের বাড়ি চান্দিনা উপজেলায় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা মোহসিন জানান, সিএনজি অটোরিকশাকে বাসটি পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশাটি সামনের আরেকটি বাসের পেছনে ধাক্কা দেয়। দুই জনের মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনার মাধাইয়ায় বাসের ধাক্কায় মো. বায়েজিদ নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
৩৫ বছর বয়সী বায়েজিতের বাড়ি তিতাস উপজেলার উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে।
পুলিশ জানায়, বিকেলে বায়েজীদ মোটরসাইকেলে কুমিল্লা যাচ্ছিলেন। মাধাইয়া এলাকায় পেছনে থেকে একটি বাস তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
ইলিয়টগঞ্জ হাইওয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) ওবায়দুল হক বলেন, ‘আমরা বাসটিকে আটক করতে পারিনি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল মর্গে নেয়া হয়েছে।’