নওগাঁর মান্দার ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিপক্ষে ভোট করায় শরিফুল ইসলাম নামে এক যুবককে পিটিয়ে হাত ভেঙে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনে বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় বুধবার রাতে মান্দা থানায় মামলা করেছেন শরিফুল। তিনি ইউনিয়নের বালিচ গ্রামের বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০২১ সালের নভেম্বরে ভারশোঁ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলতাজ উদ্দিন প্রামাণিকের পক্ষে কাজ করেন শরিফুল। সেই নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে মোস্তাফিজুর রহমান তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিলেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় ভারশোঁ বাজারে যাওয়ার পথে চেয়ারম্যান ব্যক্তিগত প্রাইভেট কার দিয়ে শরিফুলকে ধাক্কা দেয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় পাশের জমির বেড়ার ওপর ঝাঁপ দেন। চেয়ারম্যান গাড়ি থেকে নেমে লোহার রড দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পেটান। এ সময় তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে চলে যান চেয়ারম্যান।
মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শরিফুলকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
শরিফুল বলেন, ‘বিপক্ষে ভোট করায় আমার ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। এরই জের ধরে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকি দিতেন তিনি। সোমবার বাজারে যাওয়ার পথে তার প্রাইভেট কার দিয়ে আমাকে ধাক্কা দেন। পরে লোহার রড দিয়ে মারধর করে বাম হাত ভেঙে দেন। থানায় মামলা করেছি। এখন প্রাণভয়ে গ্রাম থেকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন বলেন, ‘রাস্তায় বাঁক থাকার কারণে তার সঙ্গে প্রাইভেট কারের ধাক্কা লেগেছিল, যা ছিল অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা।’
মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘থানা পুলিশ তদন্ত করে মামলা নিয়েছি কি না জানা নেই। তবে সঠিক তদন্ত করার দাবি জানাচ্ছি। চেষ্টা করছি ঘটনাটি সুরাহার।’
হত্যার হুমকির অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনুর রহমান বলেন, শরিফুল ইসলাম থানায় চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমরা আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’