বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ধর্ষণের পর ১০ তলা থেকে ফেলে হত্যা’, মরদেহ উত্তোলন

  •    
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৪১

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস আরা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে প্রায় তিন বছর পর গৃহকর্মীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে মৃত্যুর রহস্য। এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।’

দাফনের তিন বছর পর আদালতের নির্দেশে লক্ষ্মীপুর সদরের উত্তর হামছাদী এলাকায় কবর থেকে কিশোরীর মরদেহ তুলে মর্গে নিয়েছে পুলিশ।

ওই কিশোরীর বয়স ছিল ১৩ বছর। সে রাজধানীর ধানমন্ডিতে মমিনুল হক নামে এক ব্যক্তির বাসায় গৃহকর্মী ছিল। তিন বছর আগে তাকে ধর্ষণের পর ১০ তলা ভবন থেকে ফেলে হত্যার অভিযোগে ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার মা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস আরার উপস্থিতিতে কবর থেকে তোলা হয় কিশোরীর মরদেহ। চলতি বছরের ১ মে তার মরদেহ তুলে মৃত্যুর কারণ এবং ডিএনএ টেস্টের জন্য গোয়েন্দা পুলিশকে নির্দেশ দেয় ঢাকার সিএমএম আদালত।

দুপুরে মরদেহ তোলার সময় কিশোরীর মাসহ পরিবারের লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

নিহত কিশোরীর মা বলেন, ‘রাজধানীর ধানমন্ডিতে মমিনুল নামের এক ব্যক্তির বাসায় গৃহকর্মী ছিল আমার মেয়ে। ২০১৯ সালের ১৬ আগস্ট তাকে ধর্ষণের পর ১০ তলার ছাদ থেকে ফেলে হত্যা করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ তখন তাড়াহুড়ো করে মরদেহ জামালপুরে নিজ বাড়িতে না পাঠিয়ে মাইক্রোবাসে তার নানার বাড়ি লক্ষ্মীপুরে পাঠিয়ে দেয়। পরে এ ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়। জড়িতদের না ধরে পুলিশ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে।’

তিনি বলেন, ‘আমার মতো আর কোনো মায়ের বুক যেন এইভাবে খালি না হয়, সেটাই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস আরা বলেন, ‘আদালতের নির্দেশে প্রায় তিন বছর পর গৃহকর্মীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। সঠিক তদন্তে বেরিয়ে আসবে মৃত্যুর রহস্য। এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।’

কিশোরীর মা জানান, মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ধানমন্ডি থানায় তখন অপমৃত্যু মামলা করে পুলিশ। পরে ছাদ থেকে পড়ে মারা গেছে বলে প্রতিবেদন দেয়া হয়। এরপর আদালতে ওই প্রতিবেদনে নারাজি দেন তিনি। এ ঘটনায় তিনি বাড়ির মালিক মমিনুল হকসহ ৯ জনকে আসামি করে সিএমএ আদালতে মামলা করেন।

আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়। তদন্ত করে আসামিরা জড়িত নয় বলে প্রতিবেদন দেন সিআইডি। একপর্যায় নিহত কিশোরীর মা ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম আদালতে পিটিশন মামলা করলে পুনরায় পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

তিনি আরও জানান, আসামিরা জড়িত নয় বলে পুনরায় প্রতিবেদন দেয় পিবিআই। মামলার নিয়মিত চলমান প্রক্রিয়া ও প্রতিবেদন উপযুক্ত মনে না করায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে চলতি বছরের ১ মে গোয়েন্দা পুলিশকে গৃহকর্মীর মৃত্যু কারণ ও ডিএনএ টেস্টের জন্য মরদেহ কবর থেকে তোলার নির্দেশ দেয় ঢাকার সিএমএম আদালত।

আদালতের নির্দেশে দুপুরে কবর থেকে গৃহকর্মীর মহদেহ তোলা হয়েছে। নিহত গৃহকর্মীর বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জে।

লক্ষ্মীুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, মরদেহ কবর থেকে তুলে মর্গে নেয়া হয়েছে। ফরেনসিকের জন্য নমুনা এরই মধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর