বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পূজার নিরাপত্তায় বাড়িছাড়া ৫০ যুবক ঘিরে শঙ্কা পুলিশের

  •    
  • ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:৩৬

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘জঙ্গি হামলার শঙ্কা আমরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। ৫০ যুবক তাদের বাড়ি ছেড়েছে। তারা কোথায় ট্রেনিং নিচ্ছে আমরা এখনও জানি না। আশা করি, তারা কোনো অপারেশনে আসার আগেই ধরে ফেলতে পারব।’

আসন্ন দুর্গাপূজার নিরাপত্তায় বাড়ি ছেড়ে যাওয়া ৫০ যুবককে নিয়ে জঙ্গি হামলার শঙ্কায় পুলিশ। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেশজুড়ে পূজার নিরাপত্তায় বাড়তি প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম এই আশঙ্কা ও নিরাপত্তা প্রস্তুতির কথা জানিয়েছেন।

ডিএমপি কমিশনার বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দিরে পূজা উদযাপনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তা ঝুঁকি দুই ধরনের হয়। একটা জঙ্গি হামলা, অন্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে উসকানি দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা।

‘জঙ্গি হামলার শঙ্কা আমরা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছি না। কারণ এক মাস ধরে আমরা একটি বিষয় নিয়ে কাজ করছি। আপনারা জানেন, ৫০ জন ছেলে তাদের বাড়ি ছেড়েছে। তারা কোথায় ট্রেনিং নিচ্ছে আমরা এখনও তা জানি না। তবে আমাদের গোয়েন্দারা এ নিয়ে কাজ করছে। আমরা আশা করি, তারা ফিল্ডে কোনো অপারেশনে আসার আগেই তাদেরকে ধরে ফেলতে পারব।’

গুজব রোধেও সাইবার মনিটরিংও চলছে বলে জানান তিনি।

শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া পোস্ট দিয়ে সহিংসতার ঝুঁকি সবসময়ই থাকে। গত বছর কুমিল্লায় একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফ রাখা নিয়ে যে ঘটনা ঘটেছে এবারও সেরকম অপতৎপরতা থাকতে পারে।

‘পূজায় অপতৎপরতা প্রতিরোধে এবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ আমরা সারাদেশের ডিসি-এসপিদের নিয়ে মিটিং করেছি। কোথাও এ ধরনের কোনো অপতৎপরতা পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে ডিসি-এসপিরা ওইসব জায়গায় চলে যাবেন। এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে তা প্রতিরোধে ব্যবস্থা করবেন। যারা এই গুজব ছড়াবেন তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে।’

পূজায় সর্বোচ্চ নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘যেকোনো ধরনের ঝুঁকি মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে। পাশাপাশি মণ্ডপে প্রতিমা থাকা অবস্থায় ২৪ ঘণ্টা পুলিশসহ স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পাহারা দিতে আয়োজক কমিটিকে আমরা বলেছি। কারণ আমরা দেখেছি, প্ইতমা ভাংচুরের মতো ঘটনা তখনই ঘটে যখন মণ্ডপ ফাঁকা থাকে৷’

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৪২টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হবে। এগুলোর মধ্যে ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত পাঁচটি মন্দিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এগুলোতে ডিএমপির পক্ষ থেকে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করে মনিটর করা হবে। পুলিশ, আনসার ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। এছাড়াও আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর, ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে ভিভিআইপি নিরাপওা নিশ্চিত করা হবে।

‘অন্য মন্দিরগুলোতে গুরুত্ব অনুযায়ী কোথাও একজন থানার এ আই, কোথাও একজন এএসআই পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তার নেতৃত্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সাজানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে আনসার ও মন্দিরের স্বেচ্ছাসেবকরা নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে।

শফিকুল ইসলাম জানান, ‘নারী ও পুরুষদের মণ্ডপে ঢুকতে ও বের হতে আলাদা পথ ব্যবহার করতে হবে। কেউ কোন ধরনএনা ব্যাগ বহন করতে পারবে না।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন না হয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পূজা উদযাপনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান ডিএমপি কমিশনার।

এ বিভাগের আরো খবর