চলতি বছরের নভেম্বরের শেষ সপ্তাহে জাপান সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এ সফরে যাবেন সরকারপ্রধান।
সফরটিকে আগামী দিনের সম্পর্কের সূচনা হিসেবে দেখছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
প্রধানমন্ত্রীর সফর ঘিরে এরই মধ্যে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রস্তুতি শুরু করেছে। সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বুধবার একটি আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকও হয়েছে। এতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
বৈঠকে অংশ নেয়া এক কর্মকর্তা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় নির্ধারণ হলেও চূড়ান্ত তারিখ ঠিক হয়নি। ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ সফর হবে বলে দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একমত হয়েছে। তারিখ চূড়ান্তে কাজ করছে ঢাকা ও টোকিও।
ওই কর্মকর্তা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ ও আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে উভয় দেশ কাজ করছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন অংশীদার জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সফর আগেই হওয়ার কথা ছিল। জাপানে বসন্তের সময় বিশেষ ধরনের ফুল সাকুরা ফোটে। সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখানোর জন্য জাপানের পক্ষ থেকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল, কিন্তু করোনার কারণে সফর তখন হয়নি।’
বাংলাদেশ সরকারপ্রধানের সফরে দুই দেশ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সফরে বাংলাদেশ আরও জাপানি বিনিয়োগ চাইবে।
অন্যদিকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কৌশলগত রূপকল্প বাস্তবায়নে ঢাকাকে পাশে চাইবে টোকিও।
ঢাকা এ কৌশলের অর্থনৈতিক বা উন্নয়নভিত্তিক উদ্যোগের বাইরে সামরিক বা অন্য কোনো উদ্যোগে অংশীদার হতে চায় না।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে জাপান সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।