বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীর চার মাঝি খুনের ভিডিও বার্তা!

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২৩:০৬

এপিবিএন-এর সহকারী পুলিশ সুপার (অপস) মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হাশিমের বক্তব্য সঠিক নয়। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা কারও প্ররোচনায় সে এ ধরনের প্রচার চালিয়েছে।’

কক্সবাজারের উখিয়ায় চার মাঝিকে খুনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়ে মোহাম্মদ হাশিম নামে এক যুবক ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করেছেন। তিনি নিজেকে ‘ইসলামী মাহাজ’ নামে একটি সংগঠনের সদস্য বলে দাবি করেছেন।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে এপিবিএন বলছে, হাশিমের এই ভিডিও বার্তা মূলত প্রকৃত অপরাধীদের আড়ালের উদ্দেশ্যে। একটি গোষ্ঠীর ইন্ধনে এবং প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় এটা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হাশিমের অবস্থান শনাক্তের দাবি করেছে ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থাটি।

বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানান ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার (অপস) মো. ফারুক আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে হাশিমের বক্তব্য সঠিক নয়। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বা কারও প্ররোচনায় সে এ ধরনের প্রচার চালিয়েছে। তারপরও তার দেয়া বক্তব্য গুরুত্বসহকারে নিয়ে যাচাই করা হচ্ছে। তাকে আইনের আওতায় এনে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’

ফারুক আহমেদ জানান, ইতোমধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৮ তে অবস্থিত হাশিমের ঠিকানায় গিয়ে নিকটাত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে তার নাম-ঠিকানা সঠিক পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, হাশিম কয়েক মাস ধরে তার জন্য বরাদ্দ আশ্রয়স্থলের বাইরে অবস্থান করছেন।

মোহাম্মদ হাশিমের ফেসবুক একাউন্টে প্রচারিত ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি একটি অস্ত্র হাতে ভিডিওতে এসে চার মাঝির মধ্যে কাকে কীভাবে হত্যা করা হয় তার রোমহর্ষক বর্ণনা দিচ্ছেন।

ভিডিওতে হাশিম বলেন, ‘আমার মতো ২৫ জন যুবককে অস্ত্র দিয়েছে ইসলামী সংগঠন মাহাজ। যাদের কাজ ছিল হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা। যার জন্য আমাদের দেয়া হতো মোটা অংকের টাকা। আমাদের মূল কাজ ছিল যারা প্রত্যাবাসন নিয়ে কাজ করে তাদের হত্যা করা। সম্প্রতি ৫-৬ দিনের মধ্যে আমরা তিন মাঝিসহ এই স্বেচ্ছাসেবককে হত্যা করেছি।’

লাইভে খুনের শিকার মাঝিদের নামও বলেছেন এই যুবক। তিনি বলেন, ‘১৮ নম্বর ক্যাম্পের হেড মাঝি জাফর, ৭ নম্বর ক্যাম্পের ইসমাঈল, কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের এরশাদ ও হেড মাঝি আজিমুল্লাহকে হত্যা করেছি।’

একইভাবে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ ইসলামী মাহাজ সংগঠনের চার মুখপাত্রের নামও বলেন মোহাম্মদ হাশিম। তারা হলেন- জিম্মাদার সাহাব উদ্দিন, রহমত উল্লাহ, হেড মাঝি ভুইয়া ও মৌলভী রফিক। এই চারজন এই সংগঠনের নেতৃত্ব দিতেন বলে জানান এই রোহিঙ্গা যুবক।

হাশিম আরও বলেন, ‘সামনে আরও বড় মিশন ছিল। কিন্তু নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। তাই এই খারাপ জগৎ ছেড়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাই।’

এদিকে হাশিমের এই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এই ভিডিও প্রচারের পর থেকে ক্যাম্পে মাঝিসহ নেতৃস্থানীয় রোহিঙ্গাদের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর