বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বনজ কুমারের মামলার প্রতিবেদন ৬ নভেম্বর

  •    
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২২:৫৭

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার মামলা করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় অন্য আসামিরা হলেন সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন, হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া।

সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদারের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলে আগামী ৬ নভেম্বর দিন ঠিক করেছে আদালত।

বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবু বকর ছিদ্দিকের আদালতে মামলার এজাহার জমা দেয়া হয়। আদালত তা গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তারিখ ঠিক করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের এ মামলায় বাবুল আক্তার ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ইলিয়াস হোসাইন, হাবিবুর রহমান লাবু ও আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া নামের ৩ জনকে।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বাদী হয়ে রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় মামলাটি করেন।

মামলার এজাহারে বনজ কুমার বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআই চাঞ্চল্যকর মিতু হত্যা মামলা তদন্ত করছে। তদন্তকালে সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে চিহ্নিত হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল হাজতে থাকা বাবুল ও বিদেশে অবস্থানরত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে চাইছেন। তারা পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে ষড়যন্ত্রের আশ্রয় নেন।

আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় কথিত সাংবাদিক ইলিয়াস গত ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে, খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন। যা সম্পর্কে আমি পরদিন জানতে পারি। এর আগেও মিতু হত্যা মামলার তদন্ত নিয়ে ইলিয়াস তার ইউটিউব চ্যানেল থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।

সেই ভিডিওতে বলা হয়েছে, এই মামলায় বাবুল আক্তারকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফাঁসিয়েছেন পিবিআই প্রধান বনজ কুমার। মিথ্যা সাক্ষী সাজানোর অভিযোগ করা হয়েছে ভিডিওটিতে। এছাড়াও বাবুলকে রিমান্ডে নির্যাতন করার কথাও বলা হয়েছে।

মামলার তদন্ত নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার অভিযোগে পিবিআই প্রধান মামলা করেন।

প্রসঙ্গত, মিতু হত্যা মামলায় হেফাজতে নির্যাতনের অভিযোগে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদারসহ ছয়জনের নামে মামলার আবেদন করেছিলেন সাবেক এসপি বাবুল আক্তার।

আবেদনে বনজ কুমার মজুমদার ছাড়া যে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয় তারা হলেন- পিবিআই চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের এসপি নাজমুল হাসান, চট্টগ্রাম মেট্রো ইউনিটের এসপি নাঈমা সুলতানা, পিবিআইয়ের সাবেক পরিদর্শক সন্তোষ কুমার চাকমা, এ কে এম মহিউদ্দিন সেলিম ও চট্টগ্রাম জেলা ইউনিটের পরিদর্শক কাজী এনায়েত কবির।

গত ৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালতে আবেদনটি করা হয়। পরে ১৯ সেপ্টেম্বর তার সেই আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে গিয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের জিইসি মোড় এলাকায় খুন হন তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে ইতিমধ্যে চার্জশিট দিয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর