প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি তার আঁধারের সময় একটা দীপশিখা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বলেছেন, শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে বলেই বাঙালি জাতির মুক্তিকে উজ্জীবিত করে প্রগতির পদে পদে গৌরবের ইতিহাস সৃষ্টি করতে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বুধবার তিনি এ কথা বলেন।
নানক বলেন, ‘শেখ হাসিনার জন্ম বলেই বাঙালি আঁধারেও বোধের দীপশিখাকে প্রজ্বালনমান প্রদীপরূপে লালন করার সাহস পায়। যাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে আজ হন্তারক গোষ্ঠী বিশ্রামের পাঁয়তারা খোঁজে, আর জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের সোপান বেয়ে বাংলার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের স্বপ্নের সিঁড়ির দিকে দোর্দণ্ডপ্রতাপে ধাবিত হয়।’
তিনি বলেন, ‘স্বজন হারানোর বেদনা, পিতৃহত্যার বদলা, দেশের মানুষের জ্বরা-গ্লানিকে সময়ের তাড়নায় এক চিলতে হাসিতে রূপান্তরের প্রত্যয় নিয়ে বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যাই নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করেছিলেন সব অশনিশক্তিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
‘স্বৈরাচারী সরকার, সন্ত্রাসের করালগ্রাস, অগণতান্ত্রিক সামরিক পেটোয়া বাহিনী, সবকিছুকে যিনি আলিঙ্গন করেছিলেন পিতা মুজিবের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের নেপথ্যে দিগ্বিজয়ী সারস হয়ে। বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় মৌলনীতিকে বাস্তবায়ন, দেশে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা সাধন, জঙ্গিবাদ উৎখাতে অকুতোভয় দুঃসাহসী অভিযাত্রিক হিসেবে যিনি নিজের জাত চিনিয়ে বিশ্ববুকে নন্দিত হয়েছেন অপরাজেয় লৌহমানবী হয়ে তিনিই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই এখন দেশের শতভাগ মানুষ নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসা, শিক্ষা, সমৃদ্ধি, আবাসনের মতো মৌলিক চাহিদাগুলোও পূরণ করতে শেখ হাসিনার অবদান কখনও ভোলা যাবে না বলেও উল্লেখ করেন নানক।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য, লিঙ্গ সমতা, কৃষি, দারিদ্র্যসীমা হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, রপ্তানিমুখী শিল্পায়ন; ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, পোশাকশিল্প, ওষুধশিল্প, রপ্তানি আয় বৃদ্ধিসহ নানা অর্থনৈতিক সূচক, পদ্মা সেতু, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর, ঢাকা মেট্রোরেলসহ দেশের মেগা প্রকল্পগুলো আগামী ১০০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান হিসেবে গড়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।’
আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘সেই পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াত আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করা যায়, কিন্তু প্রতিরোধ করা যায় না।’
তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুলরা লাশের রাজনীতি করতে চায়। কিন্তু বাংলার মাটিতে আর হত্যাযজ্ঞ চলতে দেয়া হবে না। ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সেই খুনিদের রুখে দেয়া হবে।’
সংগঠনের মহাসচিব কে এম শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের মধ্যে ক্রীড়া উপকরণ বিতরণ করা হয়।