কিশোরগঞ্জে চাচাতো ভাইয়ের হত্যা মামলায় যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বুধবার দুপুরে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৩ বছর বয়সী নিহত আবির হাসান রাহাত পার্শ্ববর্তী ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রাজগাতি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের খরমপট্টি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
আটক ২৬ বছর বয়সী গ্রেপ্তার জোবায়ের হাসান বসবাস করতেন শহরের গাইটাল এলাকায়।
এ বিষয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ রাসেল শেখ বলেন, ‘জোবায়ের চেয়েছিল কিশোরগঞ্জ শহরে বাসা করতে। এ জন্য জুবায়েরের মা-বাবা ও বড় ভাই মাঝেমধ্যেই রাহাতের বাবার কাছে যেত পরামর্শের জন্য। কিন্তু রাহাতের বাবা বাসা না নেয়ার পরামর্শ দেন। সেই থেকে জুবায়েরের মনে ক্ষোভের জন্ম নেয়।
‘গত ২১ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় জোবায়েরের বড় বোনের ভাড়া বাসায় বুকে ছুরিকাঘাত শেষে জবাই করে রাহাতকে হত্যা করে জোবায়ের। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের মা মাহমুদা সুলতানা কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় জুবায়ের, তার মা মাহমুদা আক্তার, বাবা শহিদুল হক খন্দকার ও বোন আরিফা সুলতানাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।’
এসপি বলেন, ‘ঘটনার পর থেকেই ঢাকা, নোয়াখালী ও পরে খুলনা হয়ে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোণা জেলার খালিয়াজুড়িতে অবস্থান নিয়ে পালিয়ে থাকে জুবায়ের। মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় তার পালিয়ে থাকার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে নেত্রকোণার খালিয়াজুড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে তোলা হয়েছে।’
এর আগে মামলার অন্য তিন আসামি জুবায়েরের মা মাহমুদা আক্তার, বাবা শহিদুল হক খন্দকার ও বোন আরিফা সুলতানাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ।