কুষ্টিয়ায় পদ্মা নদীতে ধরা পড়া বিষধর একটি রাসেলস ভাইপার সাপ গড়াই নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ওই নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীদের মধ্যে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গড়াই রেল ও সড়ক সেতুর নিচে সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে বলে উপজেলা বনবিভাগের কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে পদ্মা নদীতে শামীম হোসেন নামে এক মাছ শিকারীর জালে সাপটি ধরা পড়ে।
শামিম হোসেন বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো আজ সকাল ৭টার দিকে নদীতে পাতা দোয়াড় জাল তুলে দেখি একটি অন্যরকম সাপ। প্রথমে অজগর মনে করেছিলাম। পরে বনবিভাগের লোকজন এটিকে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার হিসেবে চিহ্নিত করে নিয়ে যায়।’
এদিকে গড়াই নদীতে বিষাক্ত রাসেলস ভাইপার সাপটি অবমুক্ত করায় চিন্তিত নদীটির পাড়ে বসবাস করা লোকজন।
কুমারখালী উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আকরাম হোসেন বলেন, ‘পদ্মা থেকে এনে সাপটিকে গড়াইয়ে ছেড়ে দিয়ে লাভ কি হলো? গড়াই নদীপাড়ে লোকালয় বেশি। এটা দায়সারা কাজ হয়েছে। অনেক দূরে কোথাও ফাঁকা স্থানে অবমুক্ত করলে ভাল হতো।’
তিনি আরও বলেন, ‘পরিবেশের ভারসাম্যের জন্য বিলুপ্তপ্রায এই সাপ যেমন টিকিয়ে রাখা দরকার, তেমনি মানুষের নিরাপত্তার কথাও চিন্তা করা উচিত।
গড়াই রেল ও সড়ক সেতুর নিচে সাপটিকে অবমুক্ত করা হয়েছে
এদিকে কুষ্টিয়া বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম মোহাম্মদ কবির বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে সাপটি ভারত থেকে পদ্মা নদী হয়ে এসেছে। জব্দ করার পর গড়াই নদে অবমুক্ত করা হয়। এতে আতঙ্কের কিছু নেই। নদী বেয়ে অন্যত্র চলে যাবে।’
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ‘এখানে আমাদের কিছু করার নেই। বিষয়টি বনবিভাগের। তারাই ভাল বলতে পারবেন।’
বনবিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এর আগেও পদ্মা ও গড়াই নদীতে বেশ কয়েকবার রাসেল ভাইপার সাপ পাওয়া গেছে। পরে সেগুলো নদীর দুর্গম চরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বাংলাদেশে যেসব সাপ দেখা যায়, এদের মধ্যে রাসেলস ভাইপারই সবচেয়ে বিষাক্ত। এটি বাংলাদেশে চন্দ্রবোড়া বা উলুবোড়া নামেও পরিচিত।