বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রাতে শিশুটিকে ডোবায় ফেলে এসে ঘুমিয়ে পড়েন বাবা

  •    
  • ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৫

পুলিশ জানায়, জাকিরের দুই মেয়ে। সোমবার রাতে কোনো এক সময় শিশু হুমায়রাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেন জাকির। এরপর নিজ ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে ঘুম ভেঙে পাশে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্ত্রী।

বগুড়ার শেরপুরে ১৪ মাস বয়সী মেয়ে সন্তানকে ডোবায় ছুঁড়ে ফেলে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আটকের পর বাবা জাকির হোসেন হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের উঁচুলবাড়িয়া গ্রামে মঙ্গলবার ভোরে নিজ বাড়ির পাশের একটি ডোবা থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দেন তারা।

শেরপুর থানার উপপরিদর্শক সাচ্চু বিশ্বাস নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শিশুটির নাম মোছা. হুমায়রা খাতুন। মা রাবেয়া খাতুন রাতে সন্তানকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় জাকিরের আচরণে সন্দেহ হলে সবাই চাপ দেয়ার পর মেয়েকে হত্যার বিষয়টি উঠে আসে।

উপপরিদর্শক জানান, জাকিরের দুই মেয়ে। সোমবার রাতে কোনো এক সময় হুমায়রাকে ঘুমন্ত অবস্থায় বিছানা থেকে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেন জাকির। এরপর নিজ ঘরে এসে ঘুমিয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্ত্রী রাবেয়ার ঘুম ভেঙে পাশে মেয়েকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। এ সময় জাকিরের আচরণে রাবেয়ার সন্দেহ হয়।

তিনি আরও জানান, রাবেয়া মেয়ে হুমায়রাকে খুঁজে না পেয়ে লোকজন ডাকেন। সবার চাপে পড়ে মঙ্গলবার ভোরে মেয়েকে ডোবায় ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করেন জাকির। এরপরই ডোবা থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা।

পরে জাকিরকে আটক করে পুলিশ। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মা রাবেয়া খাতুন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার স্বামী মাঝে মধ্যে বলতেন স্বপ্নে তার কাছ থেকে তাদের বড় মেয়ে জান্নাতিকে চাইত। বিনিমেয়ে টাকা দেয়ার লোভ দেখাত। তাকে সোনা দেবে, যার বিনিময়ে ও আমার বাচ্চাকে রেখে আসছে।’

পুলিশের কাছেও এ বিষয় বলেছেন জাকির হোসেন। তবে পুলিশের ধারণা, এগুলো জাকিরের সাজানো গল্প।

এ বিষয়ে শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খন্দকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জাকির পরপর দুই বার মেয়ে হওয়াতে অসন্তোষ ছিলেন। এর জেরেই নিজের মেয়েকে হত্যা করেছেন। মূলত নিজের অ্যালিবাই তৈরি করার জন্য এ ধরনের গল্প সাজিয়েছিলেন জাকির। আমাদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জাকির এসব স্বীকার করেছেন।’

ওসি আরও বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। মামলা শেষে তাকে আদালতে চালান করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর