পঞ্চগড়ে করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনার তৃতীয় দিনে ফায়ার সার্ভিস আরও ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ নিয়ে তিন দিনে ওই ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬১ জনে।
তৃতীয় দিন মঙ্গলবার নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের এতে কিছুটা সুবিধাও হয়েছে নিখোঁজদের সন্ধান করা। এ দিন বেলা ১২টা পর্যন্ত তারা নতুন ১১টি মরদেহ উদ্ধার করে।
ঘটনাস্থল থেকে ভাটির ৩০ কিলোমিটার অংশে ফায়ার সার্ভিসের ডুডুরি দলের সদস্যরা স্থানীয়দের সহায়তায় সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছেন।
ফায়ার সার্ভিসের দিনাজপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মঞ্জিল হক সরাসরি এই উদ্ধার কাজের তদারকি করছেন। উদ্ধার মরদেহগুলো শনাক্ত করে স্বজনদের হাতে বুঝিয়ে দিচ্ছে প্রশাসন।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বেলা ১২টা পর্যন্ত নতুন করে ১১ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে কতজন নিখোঁজ আছে সেটা সঠিকভাবে বরা যাচ্ছে না। অনেকেই অনেক নাম বলেছেন যে, তারা নিখোঁজ। কিন্তু তারা আর পরে কোনো যোগাযোগ করেননি। তাই সঠিক হিসাব করা কঠিন।’
তবে ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের তথ্যে বলা হচ্ছে, এখনও ১১ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে তাদের কাছে তথ্য আছে।
মঙ্গলবার আবহাওয়া ভালো থাকায় উদ্ধার কাজ সফল হবে বলে আশা করছে উদ্ধারকারী দল।
তৃতীয় দিনে সকাল ৬টা থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা।
গত রোববার শারদীয় দুর্গোৎসবের মহালয়া উপলক্ষে দুপুরে আউলিয়া ঘাট থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বড়শশী ইউনিয়নের বদেশ্বরী মন্দিরের দিকে যাচ্ছিলেন তারা। ঘাট থেকে নৌকাটি কিছু দূর যাওয়ার পরই ডুবে যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর অপরপাড়ে বদেশ্বরী মন্দিরে মহালয়া পূজা উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও ধর্মসভার আয়োজন করা হয়। রোববার দুপুরের দিকে মূলত ওই ধর্মসভায় যোগ দিতে সনাতন ধর্মালম্বীরা নৌকায় নদী পার হচ্ছিলেন।
ছোট নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অনেক বেশি যাত্রী ওঠায় তা ডুবে যায়। অনেকে সাঁতরিয়ে তীরে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা বিশেষ করে নারী ও শিশুরা পানিতে ডুবে যায়।