বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বগুড়া সদর ইউএনওর বদলি দাবিতে উপজেলা চেয়ারম্যানের চিঠি

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:২৬

সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক বলেন, ‘ইউএনও সমর কুমার পাল স্বেচ্ছাচারী ও বদমেজাজি। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার বদলির দাবি জানিয়েছি। তাকে বদলি না করা পর্যন্ত আমরা ইউএনওর সঙ্গে কোনো কাজ করছি না। আজও পূজা নিয়ে মিটিং ছিল ইউএনওর। আমরা কেউ যাইনি।’

বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনওর) সমর কুমার পালকে বদলি না করা পর্যন্ত তার সঙ্গে সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান। একইসঙ্গে ইউএনওর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে আইনি ব্যবস্থার দাবি জানানো হয়েছে।

সোমবার এমন দাবি তুলে বগুড়া জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান সফিক। এতে তিনি ছাড়াও দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করেছেন।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমর কুমার পাল যোগদানের পর থেকে পরিষদের সবার সঙ্গে স্বেচ্ছাচারমূলক আচরণ করে আসছেন। তিনি সময়মতো অফিস করেন না এবং সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে গভীর রাত পর্যন্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে থাকতে বাধ্য করেন। বিভিন্ন দাপ্তরিক ফাইল আটকে রেখে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এসব বিষয় নিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও অন্যরা একাধিকবার তার সঙ্গে পরামর্শ করলেও তিনি স্বভাব বদলাননি।

সম্প্রতি ইউএনওর বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদের প্রকৌশল দপ্তরের নৈশপ্রহরী আলমগীর হোসেনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় উপজেলা পরিষদের মর্যাদা ও শৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন হওয়ার দাবি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, ‘ইউএনও সমর কুমার স্বেচ্ছাচারী ও বদমেজাজি। এসব অভিযোগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কাছে তার বদলির দাবি জানিয়েছি। তাকে বদলি না করা পর্যন্ত আমরা ইউএনওর সঙ্গে কোনো কাজ করা থেকে বিরত রয়েছি।

‘পরিষদে নিজেদের যত কাজ আছে সেগুলো করা হবে। শুধু ইউএনওর সঙ্গে আমরা কোনো কাজ করব না। আজও (সোমবার) পূজা নিয়ে মিটিং ছিল ইউএনওর। আমরা কেউ যাইনি।’

তবে এসব অভিযোগকে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে উল্লেখ করেছেন সদর ইউএনও সমর কুমার পাল। তিনি বলেন, ‘সব কিছু মিলে মনে হচ্ছে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। আমি বগুড়া সদরে ৯ মাস হলো এসেছি। এই সময়ে সব কাজ আমি সবাইকে নিয়ে মিলেমিশে করেছি। উপজেলা চেয়ারম্যানের অভিযোগ দেয়ার বিষয়টিও ওই ষড়যন্ত্রের অংশ।’

অভিযোগপত্রটি পাওয়ার বিষয় স্বীকার করেছেন বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক। তিনি বলেন, ‘আজ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানরা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ইউএনওর বিরুদ্ধে। বিভাগীয় কমিশনার বরাবর অভিযোগটি দেয়া হয়। আমরা সেটি রিসিভ করেছি।’

প্রসঙ্গত, ২২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নৈশপ্রহরী আলমগীর হোসেনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সদর ইউএনও’র বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় বগুড়া জেলা প্রশাসন এক সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্তের দায়িত্বভার দেয়া হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে।

এ বিভাগের আরো খবর