করোনা মহামারির কারণে বিদেশি পর্যটকদের ওপর আরোপিত করোনাভাইরাসের সব ধরনের বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। তিনি বলেছেন, এখন থেকে দেশের সব পর্যটনকেন্দ্র বিদেশিদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
সোমবার বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশে বিদেশিদের ভিসা দেয়া বন্ধ ছিল। সেই সঙ্গে অনেক দিন ধরে দেশের পর্যটন স্পটগুলোও বন্ধ ছিল। পরে মন্ত্রণালয়ের বিশেষ বিবেচনায় ৫০ শতাংশ খোলা রাখি আমরা। এতদিন সেভাবেই চলছিল। তবে আজ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী পর্যটনসংক্রান্ত সবকিছুর ওপর যে বিধিনিষেধ ছিল সেটা তুলে নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আজ থেকে বিদেশি পর্যটকদের প্রবেশ উন্মুক্ত হলো।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের পর্যটন বিকাশে একটি বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে একটা মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করছি। আশা করি এ বছরের ডিসেম্বরে সেটার কাজ শেষ হবে। তখন আমরা বিচ্ছিন্নভাবে কাজ না করে পরিকল্পনা অনুয়ায়ী কাজ করতে পারব।’
রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী। ছবি: নিউজবাংলা
মাহবুব আলী বলেন, ‘২০১৯ সালে এ দেশে তিন লাখের ওপর বিদেশি পর্যটক এসেছিল। পরে করোনার কারণে সেটা অনেক কমে যায়। তবে আমরা যদি মাস্টারপ্ল্যান অনুয়ায়ী কাজ করতে পারি, আগামীতে দেশে বিদেশি পর্যটক আরও বাড়বে।
‘তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে, বিদেশি পর্যটকরা আসে বিনোদনের জন্য। কিন্তু আমরা দেশে সামাজিক বিবেচনায় সবকিছু উন্মুক্ত করতে পারিনি। তাই আমাদের দেশে বিদেশি পর্যটকরা কম আসে। তবে এখানে যদি আমরা অবকাঠামো উন্নত করতে পারি, পরিবেশ উন্নত করতে পারি তাহলে এর পরও বিদেশি পর্যটকরা আসবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মাদ জাবের ও বাংলাদেশ পর্যটক করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলী কদর।
সংবাদ সম্মেলন শেষে পর্যটন ভবনের সামনের সড়কে সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়।