বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সব মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা চান আইজিপি

  •    
  • ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৫২

গত বছর কুমিল্লায় একটি মণ্ডপে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ রেখে আসার পর সেখানকার এবং চাঁদপুর, নোয়াখালী ও রংপুরে হিন্দুদের বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বেশ কয়েকজন আক্রমণকারীও। সেই মণ্ডপে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকলেও কোরআন রেখে আসার ঘটনাটি ধরা পড়ে পাশের কয়েকটি বাড়িতে স্থাপন করা ক্যামেরার ফুটেজে।

দুর্গাপূজা ঘিরে কেউ যেন অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড করতে না পারে, সে জন্য বিশেষভাবে সতর্ক থাকার তাগিদ দিয়েছেন পুলিশপ্রধান বেনজীর আহমেদ। সব মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের পরামর্শও দিয়েছেন তিনি।

পূজা সামনে রেখে সোমবার সকালে পুলিশ সদর দপ্তরে নিরাপত্তাসংক্রান্ত এক সভায় তিনি এসব নির্দেশ দেন।

বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হচ্ছে আগামী ১ অক্টোবর থেকে। বিসর্জনের মধ্য দিয়ে উৎসব শেষ হবে ৫ অক্টোবর।গত বছর কুমিল্লায় একটি মণ্ডপে মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় গ্রন্থ কোরআন শরিফ রেখে আসার পর সেখানেকার এবং চাঁদপুর, নোয়াখালী ও রংপুরে হিন্দুদের বাড়িঘরে ব্যাপক হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চলে। পুলিশের গুলিতে নিহত হয় বেশ কয়েকজন আক্রমণকারীও।

পরে তদন্তে বেরিয়ে আসে, বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে একটি দরগা থেকে কোরআন শরিফ এনে রাখা হয় কুমিল্লার সেই মণ্ডপে। এরপর ফেসবুকে লাইভ করে তা ছড়িয়ে দেয়া হয়। এর পরই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।

সেই মণ্ডপে কোনো ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা না থাকলেও কোরআন রেখে আসার ঘটনাটি ধরা পড়ে পাশের কয়েকটি বাড়িতে স্থাপন করা ক্যামেরার ফুটেজে।

পুলিশের সভায় এবার সব মণ্ডপে ক্যামেরা স্থাপন এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে হ্যান্ডহেল্ড মেটাল ডিটেকটর ও আর্চওয়ে গেট স্থাপন, মণ্ডপে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা প্রবেশ ও প্রস্থান পথের ব্যবস্থা করা, মণ্ডপ ও বিসর্জন স্থানে পর্যাপ্ত আলো, স্ট্যান্ডবাই জেনারেটর/চার্জার লাইটের ব্যবস্থা করা, আজান ও নামাজের সময় উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার না করার জন্য পূজা উদযাপন কমিটির প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

কমিউনিটি পুলিশের সদস্য এবং বিট পুলিশ কর্মকর্তাকে সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে পূজার নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকার অনুরোধ জানান আইজিপি।

সভায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতারাও অংশ নেন। তারা এবার নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সভায় জানানো হয়, দুর্গাপূজা নিরাপদে উদযাপনে পুলিশ প্রাক-পূজা, পূজা চলাকালীন ও পূজাপরবর্তী তিন স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ কল করার পরামর্শও দেয়া হয়।

এ বিভাগের আরো খবর