দিনে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুনেছেন পাশের কক্ষে সাবলেটে থাকা পরিবার। আর রাতেই একই কক্ষ থেকে উদ্ধার হলো তাদের মরদেহ।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের একটি বাসা থেকে এই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, স্ত্রীকে মেরে স্বামী আত্মহত্যা করেছেন।
নিহতরা হলেন মো. নোমান ও ও তার স্ত্রী শামীমা। তাদের গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন এলাকায়।
রোববার রাত ১১টার দিকে বাসার কক্ষের দরজা ভেঙে নোমানকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকা অবস্থায় এবং শামিমাকে বিছানার ওপর মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, তারা স্বামী-স্ত্রী সাবলেটে থাকতেন। দরজায় অনেকবার নক করেও তাদের কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। পরে বাড়ির কেয়ারটেকারের উপস্থিতিতে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯-এ ফোন করে পাশের কক্ষের পরিবার। সেই ফোনেই ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মুজিব পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, ‘নোমান সৌদি আরবে থাকেন। এই মাসের ৯ তারিখে দেশে এসেছেন। পরে বউ নিয়ে ঢাকায় এসে এই বাসায় সাবলেটে ভাড়া থাকেন। আজকে দিনে তারা অনেক ঝগড়াঝাটি করে কোনো একসময়ে স্ত্রীকে মেরে ফেলেছে নোমান। পরে নিজে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছেন।’
স্ত্রীকে কীভাবে মারা হয়েছে জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘স্ত্রীর মুখে রক্ত ও আঘাতের দাগ আছে। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের পাশাপাশি অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিনও আলামত সংগ্রহ করছে। কাজ শেষ হলে এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’