রাজধানীর আলাদা ঘটনায় তিনজন অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছেন। ভুক্তভোগীরা সিএনজিচালিত অটোরিকশাসহ সর্বোচ্চ লুট করে নিয়ে যায় অজ্ঞান পার্টির প্রতারক সদস্যরা। আহতদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন গার্মেন্ট ব্যবসায়ী সাহেব আলী, রড ও স্টিলের দোকানের ম্যানেজার আবুল কাশেম এবং অটোরিকশার চালক কবির হোসেন।
শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার রাত ৮টার মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে।
কবির হোসেন শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে তুরাগ সিএনজি স্ট্যান্ডে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। তখন অজ্ঞান পার্টির প্রতারক চক্রের সদস্যরা হালুয়া খাইয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে সটকে পড়েন। পরে পথচারী সোলায়মানসহ চারজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করেন।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে আজিমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সাহেব আলী নামের ওই গার্মেন্ট ব্যবসায়ীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। তার কাছে থাকা এক লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে কেটে পড়ে প্রতারক চক্রের সদস্যরা।
গুলিস্তান থেকে আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তিকে রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অচেতন অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়।
অসুস্থ আবুল কাশেমকে নিয়ে যাওয়া দোকানের মালিক মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘আমার পোস্তগোলা এলাকায় একটি রড এবং স্টিলের দোকান আছে। সেখান থেকে সকালে আমার ম্যানেজার আবুল কাশেমকে পাওনা টাকা এবং ব্যক্তিগত কাজে মেঘনা তার ফ্যাক্টরিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বিকেলে দোয়েল চাপা বাসে ঢাকা ফেরার পথে মেঘনা এবং যাত্রাবাড়ীর মাঝামাঝি স্থানে অজ্ঞান পার্টির প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে।’
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে গুলিস্তান আজিমপুর এবং তুরাগ থেকে তিন ব্যক্তি অসুস্থ অবস্থায় আনার পর তাদের পাকস্থলি পরিষ্কার করে তাদের মেডিসিন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।