ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যা করে খাটের নিচে মরদেহটি রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন হাসান নামের এক যুবক। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে তাকে উপজেলার নৈকাঠি এলাকা থেকে আটক করে রাজাপুর থানা পুলিশ।
রোববার দুপুরে হাসানকে আটকের পর বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রাজাপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম মোস্তফা।
তিনি বলেন, ‘রাজাপুরের পূর্ব বাদুরতলা গ্রামের মিলবাড়ী এলাকার একটি ঘরে খাটের নিচ থেকে ২৫ বছর বয়সী গৃহবধূ শারমিন বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছি। পরে তার স্বামী রিকশাচালক হাসানকে নৈকাঠি থেকে আটক করেছি।’
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে স্ত্রীকে হত্যার কথা হাসান স্বীকার করেছেন বলেও জানান পুলিশ পরিদর্শক।
থানা সূত্র জানায়, রোববার বিকেলে নিহত শারমিনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে আটক হাসানের নামে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
এলাকাবাসী জানায়, এক সন্তানের জননী শারমিন ঝালকাঠি সদর উপজেলার শাচিলাপুর গ্রামের মনির খানের মেয়ে। তার আটক স্বামী হাসান রাজাপুর উপজেলার পূর্ব বাদুরতলা গ্রামের মিলবাড়ী এলাকার শহিদুল ইসলামের ছেলে।
বাদুরতলা গ্রামের বাহারুল মিয়া বলেন, ‘দুপুর ২টার পর হত্যাকারী হাসানের ৮ বছর বয়সী ছোট ভাই রমজান ঘরে ঢুকে দেখে হাসান খাটের ওপর একা বসে আছে। খাটের নিচে চাদর প্যাঁচিয়ে ঘুমাচ্ছে শারমিন।
‘ঘটনাটি দেখে ছোট্ট রমজান এসে আমাকে বলে দেয়। কিন্তু এর মধ্যেই হাসান বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। পরে আমরা হাসানের ঘরে তার স্ত্রীর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেই।’
এলাকাবাসী দাবি করেছে, হাসান নেশাগ্রস্ত হওয়ায় প্রায়ই স্ত্রী শারমিনকে মারধর করতেন। রোববার দুপুরেও তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়।