বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মরিয়মের ডিএনএ টেস্টের প্রস্তুতির মধ্যেই মাকে উদ্ধার পুলিশের

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:২২

‘আমরা জানতাম মরদেহটি তার মায়ের হতে পারে না। তবুও তার সন্দেহ দূর করতে ডিএনএ টেস্ট করতে বলা হয়। তিনি রাজিও হয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে আদালত ডিএনএ টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছে। রোববার ডিএনএ টেস্ট করার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে জানতে পারি জীবিত অবস্থায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়।’

ময়মনসিংহের ফুলপুরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহটি খুলনায় নিখোঁজ হওয়া রহিমা বেগমের বলে দাবি করেছিলেন মেয়ে মরিয়ম মান্নান। তবে ব্যাপারটি নিশ্চিত হতে মরিয়মের ডিএনএ টেস্টের প্রস্তুতির মধ্যেই জীবিত উদ্ধার হয়েছেন তার মা।

শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রাম থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। তিনি স্বেচ্ছায় আত্মগোপনে ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

গত ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার বওলা ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রাম থেকে বস্তাবন্দি অজ্ঞাত এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এমন মরদেহ দেখে পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন। কিন্তু শুধু মরদেহের ছবি দেখেই মরিয়ম মান্নান বলে দেন এটা তার মা।

পুলিশের কথা না মানায় সিদ্ধান্ত হয় মেয়ের ডিএনএ টেস্টের। একপর্যায়ে ডিএনএ টেস্টের জন্য রাজিও হন মরিয়ম।

ফুলপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল মোতালেব চৌধুরী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মরিয়মের মায়ের বয়স ৫৫ বছর। আমরা যে গলিত মরদেহটি উদ্ধার করেছি, তার আনুমানিক বয়স ২৮ থেকে সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

‘ওই মরদেহটির পরনে তখন গোলাপি রঙের সালোয়ার; গায়ে সুতির ছাপা গোলাপি, কালো-বেগুনি ও কমলা রঙের কামিজ এবং গলায় গোলাপি রঙের ওড়না প্যাঁচানো ছিল। এরমধ্যে শরীর, কপাল, হাত ও সালোয়ার-কামিজ দেখে মরিয়ম মান্নান নিশ্চিত হয়ে বলেন এটাই তার মা!’

তিনি বলেন, ‘আমরা জানতাম মরদেহটি তার মায়ের হতে পারে না। তবুও তার সন্দেহ দূর করতে ডিএনএ টেস্ট করতে বলা হয়। তিনি রাজিও হয়েছিলেন। শনিবার বিকেলে আদালত ডিএনএ টেস্ট করার অনুমতি দিয়েছে। রোববার ডিএনএ টেস্ট করার কথা ছিল। কিন্তু এরইমধ্যে জানতে পারি জীবিত অবস্থায় নিখোঁজ রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়।’

মরদেহটি মায়ের বলে শতভাগ নিশ্চিতের দাবি করার কারণ সম্পর্কে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘নিখোঁজের পিছনে বড় কোনো ঘটনা ঘটতে পারে। নয়ত অজ্ঞাত গলিত মরদেহটি তার চেনার কথা ছিলনা। খুলনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সম্পূর্ণ ঘটনা খতিয়ে দেখলে অজানা তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।’

এ বিষয়ে জানতে মরিয়ম মান্নানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দিলেও সারা দেননি। নিউজবাংলার পরিচয় দিয়ে এসএমএস দিলেও উত্তর দেননি তিনি।

গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনার দৌলতপুর মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে নিখোঁজ হন রহিমা। সে সময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বিল্লাল হাওলাদার ওই বাড়িতে ছিলেন।

পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমেছিলেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও তার খোঁজ না পাওয়ায় ঘটনার দিন রাত সোয়া ২টায় দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা করেন তার মেয়ে আদুরী।

রহিমার ছেলে মো. মিরাজ আল সাদী দৌলতপুর থানায় পরদিন সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের পর থেকেই আন্দোলনে নামেন মরিয়ম মান্নানসহ তার বোনেরা। ১ সেপ্টেম্বর খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন তার বাড়ির লোকজন।

রহিমার সঙ্গে জমি নিয়ে স্থানীয়দের মামলা চলছে বলেও সে সময় জানানো হয়েছিল। রহিমার করা সেই মামলায় আসামিরা হলেন প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিুকল ইসলাম পলাশ, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফ। আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর