বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মামলা 

  •    
  • ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:২২

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার জন্য ঘরের জানালা দিয়ে বোতলে থাকা এসিড নিক্ষেপ করে। নিক্ষিপ্ত এসিডে তার মুখের বাঁ দিকের কিছু অংশ, গলার বাঁ পাশ ও বাঁ হাতের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়।’

খুলনার কয়রায় গৃহবধূর শরীরে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার রাত ৮টায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে কয়রা থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় প্রতিবেশী আবদুল খালেক গাজী, সাইফুল গাজী, আবদুল মালেক গাজী ও নূর আলম গাজীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩-৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এর আগে শুক্রবার রাত ৩টার দিকে উপজেলার মহেশ্বরীপুর ইউ‌নিয়নের গিলাবা‌ড়ী কু‌চির মোড়ে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় তার গায়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়। রাতেই তাকে কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘জমিজমাসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার জন্য ঘরের জানালা দিয়ে বোতলে থাকা এসিড নিক্ষেপ করে। নিক্ষিপ্ত এসিডে তার মুখের বাঁ দিকের কিছু অংশ, গলার বাঁ পাশ ও বাঁ হাতের বিভিন্ন স্থান ঝলসে যায়।’

ওই গৃহবধূর ছেলে আবু জাফর সিদ্দিক বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে শুক্রবার রাতে আমার নানা গফফার গাজীকে মারধর করে খালেক গাজীসহ কয়েকজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে তারা পালিয়ে যায়। ওই রাতে ঘরে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় জানালা দিয়ে দুর্বৃত্তরা অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। মায়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে দ্রুত তাকে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’

তিনি বলেন, ‘এর আগে ১১ জুলাই সকালে জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে খালেক গাজী, আনিচ গাজীসহ কয়েকজন মিলে মাকে বাড়ি থেকে টেনেহিঁচড়ে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে বিবস্ত্র করে মারধর করে। তখন আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’

কয়রা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুদীপ বালা বলেন, ‘ওই নারীর শরীরে কেমিক্যাল জাতীয় পদার্থ ছুড়ে মারা হয়েছে। এটা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তবে সেটা অ্যাসিড কি না তা ল্যাব পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয়। তবে অ্যাসিড জাতীয় পদার্থের মতোই মনে হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।’

কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম এস দোহা বলেন, ‘বিকেলে ওই নারী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’

এ বিভাগের আরো খবর