বিএনপি ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সংসদকে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য রুমিন ফারহানা।
রাজশাহীতে ‘জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গঠনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনপরবর্তী জাতীয় সরকার এবং দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ অপরিহার্য’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আয়োজনে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী মহানগরীর একটি হোটেলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, ‘গত ১৫ বছরে দেশে ধ্বংস করা হয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা, ধ্বংস করা হয়েছে সমাজের মূল্যবোধের মতো বিষয়গুলো। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দলীয়করণ করা হয়েছে।
‘এককক্ষীয় সংসদীয় ব্যবস্থায় ক্ষমতায় এলেই সংখ্যাগরিষ্ঠ দল স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে। তাই আমরা কেবল ক্ষমতার পরিবর্তন হলে মৌলিক পরিবর্তন হবে বলে বিশ্বাস করি না। এর জন্য পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থার মেরামত দরকার। তাই সব ছোট-বড় রাজনৈতিক দলকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট জাতীয় সংসদ গড়ে তুলব।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থায় আন্দোলন এবং একটি ফ্যাসিবাদী সরকারের আন্দোলন কখনই এক রকম হয় না। আওয়ামী স্বৈরশাসক পুলিশ না থাকলে কতক্ষণ মাঠে টিকে থাকবে সেটিই বড় প্রশ্ন।’
রুমিন ফারহানা আরও বলেন, ‘বিদ্যমান সংসদীয় ব্যবস্থার পাশাপাশি বিশেষজ্ঞ জ্ঞানের সমন্বয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার লক্ষ্যে দেশের প্রথিতযশা শিক্ষাবিদ, পেশাজীবী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ ব্যক্তিদের নিয়ে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা এখন সময়ের দাবি। পৃথিবীর উন্নত ও অনুসরণযোগ্য অধিকাংশ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রেই দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার প্রচলন রয়েছে। তাই বাংলাদেশে দুই কক্ষবিশিষ্ট সংসদ গড়ে তোলা জরুরি।’
বাংলাদেশে নির্বাচনব্যবস্থা এরই মধ্যে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের সভাপতিত্বে সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মিডিয়া সেল সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি।
সঞ্চালনা করেন সেলের সদস্য আতিকুর রহমান রুমন।
মতবিনিময় সভায় শিক্ষক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরা বক্তব্য রাখেন।