লক্ষ্মীপুর জেলা জামায়াতের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে দুই জামায়াত নেতাকে আটক এবং বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার বিকেলে শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় সদর থানা ও ডিবি পুলিশ যৌথ অভিযান চালায়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন জেলা জামায়াতের দপ্তর সম্পাদক ও হাজিরহাট ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী অধ্যাপক আবদুর রহমান ও জেলা জামায়াত কার্যালয়ের অফিস সহকারী মো. সুমন।
তবে জামায়াতের দাবি, তাদের কোনো কার্যালয় নেই, পুলিশ একটি বইয়ের দোকানকে তাদের কার্যালয় বলে দাবি করেছে।
পুলিশ জানায়, লক্ষ্মীপুর দক্ষিণ তেমুহনী এলাকায় মক্কা হোটেলের পেছনে টিনশেডের একটি সেমি পাকা ভবনে নিবন্ধন হারানো দলটি জেলা কার্যালয় নামে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। সেখানে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড চালানো হয় বলে খবর ছিল।
বিকেলে সদর মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মমিনুল হক ও এসআই হাবিব এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ঘটনাস্থলে অভিযান চালান।
দুজনকে আটকের পাশাপাশি কার্যালয় থেকে বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই, চাঁদা আদায়ের রসিদ ও খরচের রসিদ জব্দ করে পুলিশ।
কয়েকজন সদস্যের পূরণ করা ফরমও উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মহসিন কবির মুরাদ বলেন, ‘বই দোকানকে জেলা জামায়াতের কার্যালয় বানানো হচ্ছে। এটি জামায়াতের কার্যালয় বা অফিস নয়। এটি একটি বইয়ের দোকানমাত্র। ওই দোকানের মালিক সুমন। যেটার সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই।’
আবদুর রহমান ওই দোকানের পাশে ভাড়া থাকেন। নামাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে তাকে আটক করা হয়েছে বলে দাবি করেন জামায়াতের ওই নেতা। আটক ব্যক্তি মাদ্রাসার শিক্ষক বলেও জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘শহরের দক্ষিণ তেমুহনী এলাকার একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল জেলা জামায়াত। তারা সেখানে রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বিপুল পরিমাণ জিহাদি বই উদ্ধার করা হয়।’
আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা হবে বলে জানান ওসি।