ভোলায় স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এনামুল হক নামে এক পুলিশ সদস্যকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখমের ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা পরিষদ চত্বরে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে এসে দুর্বৃত্তদের এ হামলার শিকার হয়েছিলেন এনামুল।
এ ঘটনায় আটকরা হলেন ইব্রাহিম, রাকিব হোসেন, তারেক পাঠান, তোহান আহমেদ ও রাজিব। তাদের বয়স ১৬ থেকে ২১ বছরের মধ্যে।
আটকের পর তাদের বিরুদ্ধে ভোলা সদর মডেল থানায় নারী নির্যাতন ও পুলিশের গায়ে হাত তোলাসহ বিভিন্ন অভিযোগে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় অভিযুক্ত বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে পুলিশ কনস্টেবল এনামুল হকের স্ত্রী জানান, শুক্রবার বন্ধের দিন হওয়ায় ভোলা পুলিশ লাইনে কর্মরত স্বামী এনামুল হককে নিয়ে জেলা পরিষদের বকপাড়ে ঘুরতে আসেন তিনি। এ সময় ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত তাকে ইভটিজিং ও উত্ত্যক্ত করে।
স্ত্রীকে কেন উত্ত্যক্ত করা হচ্ছে জিজ্ঞেস করলে দুর্বৃত্তদের সঙ্গে এনামুলের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে এনামুলের ওপর হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে।
এনামুল নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দেয়ার পরও দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর ও কোপাতে থাকে। পরে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এ অবস্থায় আহত এনামুলকে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন তার স্ত্রী ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত কয়েকজন।
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হামলার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হামলাকারীরা যে দলেরই হোক, তাদের ছাড় দেয়া হবে না। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
এনামুলের শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক নিরুপম সরকার জানান, তার কাঁধ, হাত, পেটসহ শরীরের পাঁচ-ছয়টি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত হলেও তিনি পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। কোনো জটিলতা দেখা দিলে তাকে ঢাকায় পাঠানো হবে।