চট্টগ্রামে বেণির কারণে একটি স্কুলের কাবাডি দলের ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি করেছে জেলা প্রশাসন।
কমিটিকে ৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে কমিটি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও কমিটির প্রধান ফরিদুল ইসলাম হোসাইনী নিজেই নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক এবং জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা।
ফরিদুল ইসলাম বলেন, ‘কমিটিকে ৩ কার্যদিবস সময় দেয়া হলেও ঘটনাকে ঘিরে যেন কোনো ইস্যু তৈরি না হয়, সে জন্য আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছি।’
চুল ফ্রেঞ্চ বেণি করায় কাবাডি দলের ছাত্রীদের মারধরের অভিযোগ ওঠে চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার এয়াকুব আলী দোভাষ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনার প্রতিবাদে মাথা ন্যাড়া করার কথা জানান ওই স্কুলের শিক্ষক জাহিদা পারভীন।
বৃহস্পতিবার রাতে ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে নিজের মাথা ন্যাড়া করা একটি ছবি পোস্টও করেন জাহিদা।
ক্যাপশনে লেখেন, ‘স্কুলের মেয়েদের মাসখানেক কষ্ট করে খেলা শিখিয়ে মাঠে নিতে যাওয়ার আগের দিন তাদের ফেঞ্চ বেণি করে ছবি তোলা ও খেলতে যাওয়ার অপরাধে আমার স্কুলের হেডমাস্টার মেয়েদের চুল ধরে মারা ও বকার প্রতিবাদে নিজের মাথার চুল ফেলে দিয়েছি। খুব কি খারাপ দেখা যাচ্ছে?
তার অভিযোগ, গত ৭ সেপ্টেম্বর কাবাডি দলের ছবি তোলার জন্য বেণি করায় ছাত্রীদের মারধর ও বকা দেন প্রধান শিক্ষক নিপা চৌধুরী। যদিও নিপা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ বিষয়ে তদন্ত কমিটির প্রধান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা মূলত শিক্ষিকা জাহেদা পারভীনের ফেসবুক পোস্ট সামনে রেখে এগোচ্ছি। সেখান থেকে যাচাই করা হবে, যে কার কার সংশ্লিষ্টতা আছে, কার কী দোষ আছে। এসব যাচাই-বাছাই করে মঙ্গলবার প্রতিবেদন দেব আমরা।’