বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সুস্থ হয়েও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ১ পরিবারের ১২ জন

  •    
  • ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০৭

নাসিরনগরের ইউএনও মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত। তদন্ত করে খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এক পরিবারের ১২ জন সুস্থ-সবল সদস্য। তাদের কেউ ব্যবসায়ী, কারো দোকান কিংবা গরুর খামার রয়েছে। এসবের পরও তারা নিয়মিত প্রতিবন্ধী ভাতা তুলছেন।

এটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নে প্রতারণা ও অনিয়মের এক চিত্র।

উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাতলপাড় ইউনিয়নে এক পরিবারের যে ১২ জন প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী, তাদের কেউ আসলে প্রতিবন্ধী নন। তাদের অধিকাংশই মৃত প্রতিবন্ধীর স্থলে নিজ নাম অন্তর্ভুক্ত করে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন তারা।

এ ছাড়াও ওই ১২ জন ভাতাভোগীর মধ্যে ৪ জনের প্রতিবন্ধী কার্ড পাওয়া গেছে, তারাও দৃশ্যত প্রতিবন্ধী নন।

পরিবারটির প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী সদস্যরা হলেন- আনেছা বেগম, তার ছেলে জাবেদ মিয়া ও আবেদ মিয়া, দুই ছেলের স্ত্রী তানজিলা আক্তার ও জান্নাতুল ফেরদৌস, মেয়ে হালিমা বেগম, স্বজন আনাম মিয়া, বানেছা বেগম, অংরাজ মিয়া, মনোয়ারা বেগম, খুশবানু ও রহিমা বেগম।

স্থানীয়দের অভিযোগ, আনেছা বেগম খুবই প্রভাবশালী। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চায় না। তিনি এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে সুদের ব্যবসা করে আসছেন। এলাকার অধিকাংশ মানুষ হিন্দু জেলে সম্প্রদায়ের। আনেছা বেগমের সুদের টাকা পরিশোধ করতে না পারায় ইতোমধ্যেই তাদের অনেকে ভিটামাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলেও দাবি করেছেন স্থানীয় কয়েকজন।

উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. আবু কালাম বলেন, ‘আনেছা বেগমের পরিবারের ১২ জন সুস্থ মানুষ প্রতিবন্ধী ভাতা পায়। এটা এলাকার সবাই জানেন। অথচ আমরা জনপ্রতিনিধি হয়েও প্রকৃত প্রতিবন্ধীর নাম অর্ন্তভুক্ত করতে গেলে সমাজসেবা অফিসের কর্মচারীরা হয়রানি করে।’

এই অনিয়মের সাথে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানান আবু কালাম।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে দুই পুত্রবধূ তানজিলা বেগম ও জান্নাতুল ফেরদৌস তাদের শাশুড়ি আনেছা বেগমের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।

নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় বলেন, ‘চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখেই প্রত্যয়ন দিয়েছে। আমার হাসপাতালের কোনো চিকিৎসক অনিয়মের সঙ্গে জড়িত না।’

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রাখেশ পাল বলেন, ‘একই পরিবারের ১০-১২ জন সুস্থ ব্যক্তি প্রতিবন্ধী ভাতা পাচ্ছে। এটা জানার পর আমি ভাতভোগীদের বাড়িতে গিয়ে যাচাই-বাছাই করে অভিযোগের সত্যতা পেয়েছি। অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়টি প্রমাণিত। তদন্ত করে খুব দ্রুতই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর