মুন্সীগঞ্জে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে নিহত যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত পৌনে ১০টার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদরের মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা গ্রামের মুরমা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে তার জানাজা হয়। পরে গ্রামের কবরস্থানে তার দাফন হয়।
এর আগে রাত পৌনে ৯ টার দিকে শাওনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নেয়া হয়। সোয়া ৯টার দিকে শাওনের বাড়িতে যান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘শাওনের পরিবারের দায়িত্ব নেবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আপনারা সন্তান হারিয়েছেন দেশের জন্য, গণতন্ত্রের জন্য। এটা একটা বড় অবদান। এ অবদান দেশবাসীর জন্য। শাওনের আত্মদান দেশবাসী ভুলবে না। আমরা এ হত্যকাণ্ডের বিচার চাই।’
গত বুধবার বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের উপকণ্ঠ মুক্তারপুর পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় পুলিশ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও নেতা-কর্মীসহ অন্তত ৫০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবদল নেতা শহীদুল ইসলাম শাওন, জাহাঙ্গীরসহ তিনজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে শাওনের মৃত্যু হয়।