বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বধিরদের জায়গা দখল করে ‘নিজেই বধির হাজি সেলিম’

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:১৪

২০০৪ সালে ঢাকা জেলার লালবাগ থানাধীন লালবাগ মৌজার এসএস-১নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ২০৬৫নং দাগের এক একর (আংশিক) জায়গা ঢাকা বধির হাই স্কুলের নামে বরাদ্দ করা হয়। স্কুলটি ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয়করণ করা হয়। কিন্তু সেই জমিটি হাজি সেলিম দখল করে রেখেছেন।

বধিরদের জায়গা দখল করে নিজেই কথা বলতে পারছেন না পুরান ঢাকার সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ সেলিম। এমন মন্তব্য উঠে এসেছে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সমাবেশে।

সমাবেশে বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি শাহাদাৎ আলম হারু চৌধুরী বলেন, ‘লালবাগে ঢাকা বধির হাই স্কুলের যে জমি রয়েছে তা হাজি সেলিম সাহেব দখল করে রেখেছেন। প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরও তিনি এই জমি ফিরিয়ে দিচ্ছেন না।’

বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এ বিষয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছিল যে এক মাসের মাথায় বধির শিক্ষার্থীদের শিক্ষার জন্য এই জায়গাটি তিনি (হাজি সেলিম) ছেড়ে দেবেন। জেলা প্রশাসকদের জানানোর পরও তারা কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না।’

সেই জমি দখলমুক্ত না হওয়ায় বধির স্কুলের কার্যক্রমে কী সমস্যা হচ্ছে, সেটি তুলে ধরে তিনি বলেন, 'লালবাগের জমিতে একটি ছয়তলা ভবন শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু তা করা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ হাজি সেলিম সাহেব এই জমিটা দখল করে রেখেছেন। বিজয়নগরে সংকীর্ণ জায়গায় ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া করছে।’

বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘‘হাজি সেলিম ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পত্তি দখল করে আছেন। কিন্তু ঢাকা জেলা প্রশাসক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।’

শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধীদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সাল থেকে সংস্থার প্রধান শিক্ষা প্রকল্প হিসেবে ঢাকা বধির স্কুল স্থাপিত হয়। স্কুলটি নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় হিসেবে পরিচালিত হয়ে আসছে।

২০০৪ সালে ঢাকা জেলার লালবাগ থানাধীন লালবাগ মৌজার এসএস-১নং খতিয়ানভুক্ত সাবেক ২০৬৫নং দাগের এক একর (আংশিক) জায়গা ঢাকা বধির হাই স্কুলের নামে বরাদ্দ করা হয়। স্কুলটি ২০১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয়করণ করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর