বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নৈশপ্রহরীকে ইউএনওর মারপিটে তদন্ত কমিটি

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৮:৫৬

নৈশপ্রহরী বলেন, ‘ইউএনও স্যার এগিয়ে এসে আমাকে একটু অন্ধকারের দিকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়েই আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন।’

বগুড়ায় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বিরুদ্ধে নৈশপ্রহরীকে মারপিটের অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার সকালে এক সদস্যবিশিষ্ট ওই কমিটি করা হয়।

দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বগুড়ার জেলা প্রশাসক মো. জিয়াউল হক বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেই ঘটনা জানার পর মৌখিকভাবে তদন্তের কথা বলা হয়েছে। আজ সকালে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালাহ্উদ্দিন আহমেদকে এক সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব এই কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালাহ্উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সদর ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে এখনও লিখিত কোনো নির্দেশনা আসেনি। লিখিত আসার পরই আমি যথাযথ নিয়ম মেনে প্রতিবেদন জমা দেব।’

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইউএনও সমর কুমার পালের বিরুদ্ধে আলমগীর হোসেন নামে এক নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ ওঠে। মারধরের পর ওই প্রহরীকে উপজেলা পরিষদের প্রাঙ্গণে ফেলে রাখা হয়।

তবে ইউএনও দাবি করেছেন, ওই প্রহরীকে তিনি কোনো মারপিট করেননি। সহানুভূতি নেয়ার জন্য সে মার খাওয়ার অভিনয় করেছে।

ভুক্তভোগী আলমগীর হোসেন সদর উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তরের নৈশ প্রহরী। তিনি সিরাজগঞ্জ সদরের মেহের আলীর ছেলে। বর্তমানে চাকরির সুবাদে বগুড়া সদর উপজেলা পরিষদের কর্মচারীদের কোয়ার্টারে থাকেন।

বৃহস্পতিবার শহীদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলমগীর বলেন, ‘আমার বউ বগুড়ায় আমার সঙ্গে থাকতে চায়। এ নিয়ে ১৫ দিন আগে সে উপজেলা প্রকৌশলী স্যারের কাছে কমপ্লেইন দিয়েছে। এইটা নিয়ে স্যার আমাকে তিনবার শোকজ করেন। আমি জবাব দিছি। আজ ইউএনও স্যারের কাছে গিয়ে বউ আবার কমপ্লেইন দেয়।

‘এই কমপ্লেইনে ইউএনও স্যার আমাকে তার অফিসে ডাকে। আমি গেলে আনসার সদস্যরা আমাকে ধরে তার কাছে নিয়ে যায়। আর মোটা মোটা লাঠিও আনে তারা।’

নৈশপ্রহরী আরও বলেন, ‘ইউএনও স্যার এগিয়ে এসে আমাকে একটু অন্ধকারের দিকে নিয়ে যান। সেখানে নিয়েই আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে শুরু করেন। ওই সময় তার দেহরক্ষী দুই আনসার সদস্য আমাকে ধরে রেখেছিল।

‘আমি অনেক কাকুতি-মিনতি করেছি, আমাকে যেন না মারে। বলছি, স্যার আমি আপনার স্টাফ। কিন্তু স্যার আমাকে মারতেই থাকে। একবার অচেতনও হয়ে পড়ি। তার পরও মারছে আমাকে।’

এ বিভাগের আরো খবর