কুমিল্লার তিতাসে কলেজছাত্র মো. সিয়াম হত্যা মামলায় আট মাদ্রাসাছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত সবাই ২০২২ সালের দাখিল পরীক্ষার্থী।
শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে নিলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সিয়ামের বাবা হেলাল উদ্দিন সরকার বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে আটজনের নাম উল্লেখ করে তিতাস থানায় মামলাটি করেন।
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মেঘনা উপজেলার ব্রাহ্মণচর নোয়াগাঁও গ্রামের সাকিব হোসেন, নাজমুল হাসান, জোনায়েদ ইসলাম শুভ, সাইমুন মিয়া, মাসুম বিল্লাহ রনি, বালুচর গ্রামের ওমর ফারুক, জুনায়েদ আহমেদ সৌরভ ও করিমাবাদ গ্রামের মুকুল আহমেদ রাব্বি।
ওসি বলেন, ‘ গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে নাজমুল হোসেনের বাড়ি তিতাসের পাশে মেঘনা উপজেলায়। তিনি ব্রাহ্মণচর সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। তার সঙ্গে সিয়ামের চাচাতো বোনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই কিশোরীও ব্রাহ্মণচর মাদ্রাসার শিক্ষার্থী। দাখিল পরীক্ষা শুরুর কয়েক দিন আগে নাজমুল ও তার বন্ধুরা ওই কিশোরীর এলাকায় ঘুরতে যায়। এ সময় সিয়াম বিষয়টি জানতে পারে। সে নাজমুল ও তার বন্ধুদের এলাকায় যেতে নিষেধ করে।
‘এতে ক্ষুব্ধ হয় নাজমুল ও তার বন্ধুরা। বৃহস্পতিবার সিয়াম তার এক চাচাতো ভাইকে নিয়ে পরীক্ষার কেন্দ্রে যায়। নাজমুল ও তার সাত বন্ধু পরীক্ষা শেষে বের হয়ে সিয়ামকে দেখতে পায়। সাত বন্ধু মিলে নাজমুলকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। নাজমুলের বন্ধু সাকিব চাকু নিয়ে আসে। সিয়ামকে কয়েকজন ধরে এবং একজন তার তলপেটে ছুরিকাঘাত করে।’
সিয়াম মুন্সীগঞ্জ টেকনিক্যাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। তিনি কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নের চরমোহনপুর গ্রামের হেলাল উদ্দিন সরকারের ছেলে।
কুমিল্লা কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান জানান, শুক্রবার দুপুরে আসামিদের আদালতে নিলে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।