বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আজব মাদ্রাসায় সুপারের তেলেসমাতি

  •    
  • ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৮:৩৫

মিঠামইনের শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাটি এর সুপারের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এখানে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ১৭ জন শিক্ষক দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ আছে সবে পাঁচটি। ২০ জন ছাত্রও একসঙ্গে আসে না, আর শিক্ষকদের মধ্যে পাঁচ জনের বেশি কাউকে দেখা যায়নি।

কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে একটি মাদ্রাসার বারবার স্থান পরিবর্তন করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পরে নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত স্থানান্তর হয়েছে পাঁচবার। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করে নয়, মাদ্রাসা সুপারের ইচ্ছামতো স্থানান্তর হয় যখন তখন।

কখনও স্থানান্তর করে আনা হয়েছে সুপারের বাড়ির সামনে, কখনও বা যাতায়াতের অনুপযোগী হাওরে, কখনও আনা হয়েছে সুপারের বাড়ির কাছের বাজারে। এর মধ্যে ঘূর্ণিঝড়েও একবার হয়েছে লণ্ডভণ্ড। বর্তমানে সেই মাদ্রাসার অবস্থান উপজেলার ধলাই-বগাদিয়ার বাজারের একটি টিনশেড ঘরে।

তবে যে ঘরটিকে মাদ্রাসা হিসেবে দেখানো হয়েছে সেটি মূলত ধলাই-বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘর। রবি, সোম ও মঙ্গলবার সকালে গিয়ে দেখা সেই ঘরের দরজা বন্ধ। ভেতরে ঢুকতেই দেখা যায় পুরো ঘরটাই ফাঁকা। এক কোণায় একটি টেবিল, একটি ভাঙা চেয়ার আর পাঁচটি বেঞ্চ।

মাদ্রাসা সুপারের দাবি, এখানেও অনেক কিছু ছিল স্থানীয়রা শত্রুতা করে নিয়ে গেছে।

অস্তিত্ববিহীন এই প্রতিষ্ঠানটির নাম শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। মিঠামইন উপজেলার গোপদিঘী ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামে নিজস্ব জায়গায় কেবল একটি সাইনবোর্ড আছে। শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা আসেন ইচ্ছে মতো, চলেও যান যখনতখন। শিক্ষার্থীরা কেবল ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেই খুশি কর্তৃপক্ষ। উপস্থিতির ব্যাপারে কারও কোনো দুশ্চিন্তা নেই তাদের।

মাসে পাঁচদিন এলেও প্রত্যেকের উপস্থিতি আছে কমপক্ষে পঞ্চাশ শতাংশ। শিক্ষকরা মাসের পরে মাস না এসেও হাজিরা খাতায় প্রতিদিনের সাক্ষর আছে সবারই।

মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয় ১৯৯৯ সালে। পাঠদানের জন্য অ্যাকডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০০৫ সালে। আর এমপিওভুক্ত হয় ২০১০ সালে।

১৯৯৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নিজস্ব জায়গা জমি না থাকায় শ্যামপুর বড়হাটি মসজিদের পিছনে অস্থায়ীভাবে পাঠদান চলে। এর পরে মাদ্রাসা পরিচালনার কমিটির সভাপতি প্রয়াত জজ মিয়া এক একর জায়গা দান করেন। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার আয়-ব্যয়ের হিসেব নিয়ে তৎকালীন সভাপতি জজ মিয়ার সাথে দ্বন্দ্ব বাঁধে মাদ্রাসা সুপারের। আর এই দ্বন্দ্বের জেরেই মাদ্রাসার নামে জায়গা থাকা সত্ত্বেও সেখানে মাদ্রাসা স্থাপনে অসম্মতি জানান সুপার আমিনুল হক।

পরে হঠাৎ একদিন রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সব নথিপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান মাদ্রাসা সুপার। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকে কার্যক্রম। পরে ২০১২ সালের জানুয়ারি থেকে তিনি তার নিজের বাড়ির কাছে একটি ছোট বাজারে অস্থায়ীভাবে ঘর নির্মাণ করে কার্যক্রম শুরু করেন।

শ্যামপুর থেকে মাদ্রাসার ঘর ভেঙে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। সুপারের অভিযোগ, শ্যামপুরের লোকজনের ব্যবহার ভালো না। তিনি যেখানে ভালো মনে করেন সেখানেই মাদ্রাসা চলবে।

২০১২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ধলাই বগাদিয়া বাজারে নামেমাত্র দুইটা টিনের তৈরি করে প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে বেতন-ভাতা তুলে আসছেন ১৭ জন শিক্ষক। পরে ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কালবৈশাখি ঝড়ে ঘর ভেঙে পড়েছে দেখিয়ে পাঠদান বন্ধ থাকে ছয় মাস।

এরপর একটা ঘর তুলে কার্যক্রম শুরু হয় বগাদিয়া গ্রামের হারিছ মিয়ার বাড়িতে। পরের তিনমাস পাঠদান দেখানো হয় বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি টিনশেড ঘরে।

এরপর আবার স্থানান্তর করা হয় মাদ্রাসা, এবার সুপারের নিজস্ব জমিতে। মাদ্রাসার নামে দান করা ১০০ শতাংশ জায়গা থাকা সত্ত্বেও তিনি আবারও ঘর নির্মাণ করতে থাকেন ফসলি জমিতে। যেখান যাতায়াত করাও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে শিক্ষার্থীদের। এক পর্যায়ে শ্যামপুরবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে সেখান থেকে ঘর ভেঙে নিয়ে যায় স্থায়ী জায়গায়।

এ ঘটনাটি গত ৯ সেপ্টেম্বর সকালের। পরদিন রাতে মাদ্রাসা সুপার শ্যামপুর গ্রামের ৮২ জনের নাম উল্লেখসহ আরও শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে মিঠামইন থানায় মামলা করেন। মামলার অভিযোগে বলা হয়, শ্যামপুর গ্রামের লোকজন তার মাদ্রাসার তিনটি টিনের ঘর, চেয়ার-টেবিল ও নথিপত্র লুটে নিয়ে গেছে। এতে তার প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে।

যদিও বাস্তবচিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি সবেমাত্র ঘর নির্মাণ করতে শুরু করেছিলেন। এখনও সেখানে পাঠদানের উপযোগী কোনো পরিবেশেরই সৃষ্টি হয়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদেরকে শায়েস্তা করতেই এমন অভিযোগ তুলেছেন সুপার।

পাঁচ বেঞ্চে ১০ শ্রেণির ২৭৪ জনের ক্লাস!

গত ১৮, ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর পরপর তিনদিন মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা যায় ভেতরে একটি টেবিল, একটি ভাঙা চেয়ার আর পাঁচটি বেঞ্চ ছাড়া আর কিছুই নাই। মাদ্রাসা সুপার আমিনুল হক বলেন তার প্রতিষ্ঠানে সব মিলিয়ে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। তার দাবি, উপস্থিতির হার ৫০ শতাংশ।

তাহলে শিক্ষার্থী-শিক্ষক কাউকেই মাদ্রাসায় পাওয়া যায়নি কেন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আগে আসত, এখন দাখিল পরীক্ষা চলছে আর মাদ্রাসা নিয়েও একটু ঝামেলা চলছে জেনে শিক্ষার্থী আসেনি। কয়েকদিন পর থেকে আবারও আসবে।’

আপনার প্রতিষ্ঠানে তো পর্যাপ্ত পরিমাণ চেয়ার-টেবিলই নেই। তাহলে পৌনে তিন শ ছাত্রের পাঠদান কীভাবে সম্ভব?- এমন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে চাননি মাদ্রাসা সুপার।

সুপারের বাড়ির পাশেই বসবাস করেন মো.হারুনূর রশিদ। তিনি একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি বলেন, ‘এই মাদ্রাসাটি একটি আজব প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরাও মন চাইলেই আসেন আবার কিছুক্ষণ চা পান করেই আবার চলে যান। যে প্রতিষ্ঠানের সুপারই অনিয়মিত সেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কথা আর নাই বললাম। পরীক্ষা ছাড়া ২০ জনকে একসঙ্গে ক্লাস করতে দেখিনি।’

তিনি বলেন, মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অনিয়ম নিয়ে প্রতিবাদ করতে করতে আমি মামলার আসামি হয়েছি। এই মাদ্রাসার বিরুদ্ধে ফেসবুকে লিখতে গিয়ে স্থানীয় এক সাংবাদিকের নামেও অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

সহকারী কৃষি শিক্ষক আসেন না ৪ বছর ধরে

এই শিক্ষকের নাম হাসান মোহাম্মদ ফরহাদ। বাড়ি ঘাগড়া ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে। তিনি মাদ্রাসায় যোগ দেন ২০০৫ সালে। সর্বশেষ কবে এসেছিলেন এ বিষয়ে সঠিক বলতে পারেন না স্থানীয়রা।

তবে তাকে চার বছর পূর্বে একবার দেখেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল হক। তিনি বলেন, ‘অন্য শিক্ষকরা তো মন চাইলে মাঝে মাঝে আসেন। তবে ফরহাদ সাহেবকে দেখেছিলাম আরও চার বছর আগে। পরে আর কোনোদিন দেখিনি।’

তার অনুপস্থিতির বিষয়ে গত মার্চ মাসে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম।

তবে হাসান ফরহাদ সকল অভিযোগকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, সামাজিকভাবে হেয় করতে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিয়মিত পাঠদান না থাকায় মাদ্রাসা ছেড়ে অন্যত্র

মাদ্রাসায় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ত তামান্না আক্তার। পরে ভর্তি হয় অন্য একটি মাদ্রাসায়।

কারণ কী- প্রশ্ন করতেই জবাব মিলল, ‘সারা বছরে মাত্র ১৫ থেকে ২০ দিন ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছিলাম। এমন অনেক সময় মাদ্রাসায় গিয়ে দেখি কেউই আসেনি। পরে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ক্লাস না করেই বাড়ি ফিরেছি। যদি বাড়িতে প্রাইভেট না পড়তাম তাহলে কিছুই শিখতে পারতাম না। পরে কোনোমতে এই বছরটা শেষ করে শহরে গিয়ে আরেকটা মাদ্রাসায় সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি।

‘আমাদের এলাকায় মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতে পারলে খরচটা কম হতো, কিন্তু এখন তো অনেক বেশি খরচ পরে।’

আরেক শিক্ষার্থী মাকসুদা আক্তার এই মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেছে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত। এরপর আর পড়েনি।

মাকসুদা বলেন, ‘ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত মন চাইলে মাদ্রাসায় যেতাম, আবার যখন ইচ্ছা চলে আসতাম। যাওয়া না যাওয়া একই কথা। কারণ, গেলেও কোনো ক্লাস হতো না। কয়েকজন স্যার এসে কিছুক্ষণ চা-পান খেয়ে চলে যেত। আমাদেরকে বলত বাড়িতে গিয়ে ভালো করে পড়তে। পরীক্ষার সময় ভালো করলেই হবে।’

সব শিক্ষককে চেনে না ছাত্ররা

মাদ্রাসা সুপারের দেওয়া তথ্যমতে, তার প্রতিষ্ঠানে ২৭৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ১৭ জন।

শিক্ষার্থী মাহফুজ মিয়া বলে, ‘আমরা খালি জানি আমাদের ১৭ জন স্যার। তবে সবাইকে একসঙ্গে দেখার সুযোগ হয়নি।’

সুযোগ না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে সে বলে, ‘একজন আসলে আরেকজন আসেন না। আবার আমরাও নিয়মিত যাই না। এজন্য সবাইকে চেনার সুযোগ হয়নি।’

বাড়িতে থেকে বেতন

শ্যামপুর গ্রামের বাসিন্দা ৭০ বছর বয়সী আব্বাস উদ্দীন। তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর প্রথমে কিছুদিন ভালোই চলছিল। এমপিওভুক্ত হওয়ার পর ভেবেছিলাম এখানে পড়াশোনা করে আমাদের সন্তানেরা শিক্ষিত হবে। কিন্তু মাদ্রাসা সুপারের তেলেসমাতির কারণে সব ভেস্তে গেছে।

তিনি বলেন, পরিচালনা কমিটির কাছে তারা আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা দেয়নি। একদিন রাতের আঁধারে মাদ্রাসার সব নথিপত্র নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। বলেন, শ্যামপুর গ্রামেই মাদ্রাসা রাখবেন না। যারা পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তারা মাদ্রাসা যেখানে থাকবে সেখানেই আসবে। আর না এলে নাই৷

আব্বাস বলেন, ‘এই মাদ্রাসায় ১৭ জন শিক্ষক রয়েছেন। তারা তিনভাগে ভাগ হয়ে মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। একদিন যে পাঁচজন আসেন পরদিন আসেন ভিন্ন পাঁচজন। এভাবেই মিলেমিশে বাড়িতে বসেও বেতন তুলছেন তারা। এ বিষয়ে বহুবার প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু লাভ হয়নি।’

একই এলাকার বাসিন্দা ৬৬ বছর রইছ উদ্দীন বলেন, ‘মাদ্রাসাটি নিয়ে যে তেলেসমাতি আমরা দেখেছি তা বলার ভাষা নেই। মাদ্রাসা সুপার তার ইচ্ছেমতো মাদ্রাসাটি নিয়ে ফেরি করে বেড়ান।

‘মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও তিনি সেখানে পরিচালনা করতে নারাজ। কারণ, এখানে থাকলে নিয়মিত ক্লাস করতে হবে। আর তার বাড়িতে থাকলে মন চাইলে আসলেন, না চাইলে ঘরে ঘুমালেন। এই হলো অবস্থা।’

সবাই আমার শত্রু: মাদ্রাসা সুপার

আমিনুল হক। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই মাদ্রাসার সুপারের দায়িত্বে আছেন। তার বাড়ি একই ইউনিয়নের ধলাই গ্রামে।

তিনি বলেন, ‘মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে জায়গা সংকটে ভুগেছি। মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি তৎকালীন সভাপতি আমাকে নানা অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। রাজি না হওয়ায় তিনি আমাকে বিভিন্নভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে কথাবার্তা বলতেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে মাদ্রাসা স্থানান্তর করেছি।’

নিয়মিত পাঠদান না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বন্যা আর করোনার কারণে উপস্থিতি কমে গেছে।’

আপনার বিরুদ্ধে স্থানীয়দের এত অভিযোগ কেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সবাই আমার শত্রু তাই মিথ্যা অভিযোগ করে।’

তাহলে আপনি শত্রুতার জেরেই তাদের নামে মামলা করেছেন- এমন প্রশ্নের জবাব না দিয়ে রাগ দেখান সুপার।

এ বিষয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন নাহার মাকছুদা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই মাদ্রাসার বিষয়ে আমি মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, ‘স্থানীয়দের মাধ্যমে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বলা হয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর