নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে তালাবদ্ধ ঘর থেকে কিশোরীর রক্তাক্ত ও অর্ধনগ্ন মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার শহিদুল ইসলাম এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটক যুবকের নাম মোহাম্মদ সাইদ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
নিহত কিশোরী একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ত। তার মা আরেকটি স্কুলের শিক্ষক, বাবা মারা গেছেন অনেক আগে।
জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের মা জানান, ওই ভবনটি তার শ্বশুরের। ভবনের নিচতলার ফ্ল্যাটে তিনি মেয়েকে নিয়ে থাকেন।
তিনি বলেন, ‘সকালে আমি আমার স্কুলে চলে যাই। আমার মেয়ে বাসাতেই ছিল। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এসে দেখি বাসার বাইরে থেকে তালা দেয়া। ওই তালার একটি চাবি আমার ও আরেকটি মেয়ের কাছেই থাকে। আমি তালা খুলে ঢুকে দেখি ঘরের জিনিসপত্র লন্ডভন্ড। মেয়ের শোবার ঘরের দরজা লক করা। জানালা দিয়ে ওর রক্তাক্ত দেহ খাটে পড়ে থাকা দেখি।’
মেয়েটির চাচি জানান, ‘ওর মা স্কুলে গেলে সে ঘরে একাই থাকত। সন্ধ্যায় তার মায়ের চিৎকার শুনে এসে দেখতে পাই গলাকাটা অবস্থায় অর্ধনগ্ন লাশ পড়ে আছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আকরামুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখি মেয়েটিকে গলা কেটে হত্যা করেছে। এর আগে ধর্ষণ করা হয়ে থাকতে পারে। স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে ও ঘটনাস্থলে কিছু আলামত পেয়েছি। আশা করি বিষয়টি তদন্ত করে অল্প সময়ের মধ্যে রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।’