বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুশ দূতাবাসের বিবৃতির জবাবে টিআইবি যা বলছে

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:৫০

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘গম আমদানি বা গ্যাস অনুসন্ধানসহ কোনো ব্যবসায়িক চুক্তি বা পণ্য সরবরাহকারী কোনো দেশ সম্পর্কে টিআইবির আপত্তি নেই। টিআইবির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যথাযথ প্রক্রিয়া, দেশের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং এ ধরনের চুক্তিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা রাখা।’

গম কেনা ও গ্যাস অনুসন্ধান সংক্রান্ত দুই চুক্তি নিয়ে টিআইবির উদ্বেগকে ঢাকায় রাশিয়ান দূতাবাস গুরুত্বের সঙ্গে নেয়াকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেছে টিআইবি।

রুশ দূতাবাসের পাঠানো ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ গ্যাস অনুসন্ধান ও গম ক্রয় চুক্তির বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের বিবৃতির প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির জবাবে টিআইবি এমন মন্তব্য করেছে।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে গ্যাস অনুসন্ধান ও গম ক্রয় চুক্তি নিয়ে রাশিয়ান দূতাবাসের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে টিআইবি প্রতি-উত্তর দিয়েছে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বিবৃতির মাধ্যমে পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে রাশিয়ান বৈরিতার ব্যাপারে টিআইবির উদ্বেগকে যুক্ত করার দূতাবাসের এই প্রচেষ্টা পুরোপুরি অযৌক্তিক ও আত্মঘাতী।

‘বাংলাদেশের গম আমদানি বা গ্যাস অনুসন্ধানসহ কোনো ব্যবসায়িক চুক্তি বা পণ্য সরবরাহকারী কোনো দেশ সম্পর্কে টিআইবির কোনো আপত্তি নেই। টিআইবির জন্য একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো যথাযথ প্রক্রিয়া, দেশের অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং সর্বোপরি এ ধরনের চুক্তিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে বাংলাদেশ সরকারের প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করা।’

ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘টিআই-রাশিয়াকে বিদেশি এজেন্ট আখ্যা দিয়ে নিপীড়ন করা রাশিয়ান সরকারের এমন এক কর্মকাণ্ড, যা তাদের গর্ব করার মতো কাজের তালিকায় একেবারে তলানিতে থাকবে। রাশিয়ান দূতাবাস বিষয়টি বুঝতে না পারায় টিআইবি হতাশ হলেও অবাক হয়নি।

‘রাশিয়ায় দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য কাজের জন্যই যে টিআই-রাশিয়াকে ক্লেপ্টোক্রেটিক রাশিয়ান সরকারের নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে তা সর্বজনবিদিত। তাছাড়া, টিআই-ই একমাত্র এনজিও বা সিএসও নয়, যা রাশিয়ান শাসনব্যবস্থার লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে এবং নিপীড়িত হতে হয়েছে।’

টিআইবির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দুটি চুক্তির বিষয়ে টিআইবির উদ্বেগের পেছনের যুক্তি পর পর দুটি বিবৃতিতে পর্যাপ্তভাবে স্পষ্ট করা হয়েছে। তা টিআইবির ওয়েবসাইটেও উন্মুক্ত রয়েছে। রাশিয়ান দূতাবাসের বিবৃতি চুক্তি দুটি ঘিরে আরও বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে।

‘ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক এলএলসি রাশিয়ান রপ্তানিকারকের এজেন্ট হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিল না বলে দূতাবাসের দাবি সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। ওই সরকারি কর্মকর্তার বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, তথাকথিত স্থানীয় এজেন্ট চূড়ান্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে চুক্তি সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করেন।

টনপ্রতি ১০০ ডলারের ল্যান্ডিং খরচ এবং এই উচ্চ হারে ৫ লাখ টন পণ্যের চুক্তিতে কিভাবে ভ্যালু ফর মানি নিশ্চিত করা হয়েছে- এ বিষয়ে রাশিয়ান দূতাবাসের বিবৃতিতে কোনো গ্রহণযোগ্য যুক্তি খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি বলছে, ‘জি-টু-জি ভিত্তিতে গম আমদানির খরচ উন্মুক্ত টেন্ডারিং পদ্ধতির চেয়ে কম- এই দাবিটিও গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ জি-টু-জি পদ্ধতির ক্ষেত্রেও নির্ধারিত দর বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক দরের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিনা তা নিশ্চিত করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এই দর বিশ্ববাজারে তূলনামূলক কম ছিল এবং আরও কমার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।’

টিআইবির বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গ্যাস অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানির সঙ্গে তুলনা করার প্রচেষ্টাও প্রাসঙ্গিক নয়। এই চুক্তির অধীনে গ্যাজপ্রমের ব্যয় বাপেক্সের চেয়ে তিন গুণ বেশি ছিল কেন- তা রাশিয়ান দূতাবাস ব্যাখ্যা করলে দূতাবাসের প্রয়াস অর্থবহ হতো।’

এ বিভাগের আরো খবর