বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লাখো প্রাণহানি ঘটাতে পারে এএমআর: শেখ হাসিনা

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২০:২৬

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ল্যাক্সিংটন হোটেলে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স’ বিষয়ক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স সমস্যাটি সংকটে পরিণত হতে পারে। এটি সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এই সংকট থেকে বাঁচতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্সের (এএমআর) কারণে ভবিষ্যতে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা প্রকাশ করে এ জন্য রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও গবেষণার ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে ল্যাক্সিংটন হোটেলে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিট্যান্স’ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এমন আশঙ্কার কথা জানান সরকারপ্রধান।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সমস্যাটি সংকটে পরিণত হতে পারে। এটি সারা বিশ্বে লাখ লাখ মানুষের প্রাণহানি ঘটাতে পারে। এই সংকট থেকে বাঁচতে টেকসই রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও পদক্ষেপ নেয়া দরকার।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, সময়ের সঙ্গে নিজেকে টিকিয়ে রাখতে ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ফাঙ্গাস, প্যারাসাইটগুলো যখন নিজের ভেতরে পরিবর্তন নিয়ে আসে এবং এদের বিরুদ্ধে ওষুধ প্রয়োগেও কোনো কাজ হয় না, তখন সেই অবস্থাকে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স (এএমআর) বলে।

এএমআর-এর কারণে ইনফেকশন চিকিৎসা কঠিন হয়ে পড়ে এবং রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বেড়ে যায় মৃত্যুর ঝুঁকি। অন্য অনেক কারণের পাশাপাশি অ্যান্টিবায়েটিক ওষুধের অতিরিক্ত ও ভুল ব্যবহারে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়।

এ ইস্যুতে আরও বেশি কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইস্যুটিকে সবার নজরে আনার জন্য গ্লোবাল লিডারশিপ গ্রুপ থেকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এটা স্পষ্ট যে এই ইস্যুতে আরও বেশি কিছু করা দরকার। কৌশলগত অগ্রাধিকারগুলো ভালভাবে চিহ্নিত হয়েছে। আমাদের সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।’

এএমআর ঝুঁকি মোকাবিলায় নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর আর্থিক সহায়তা বাড়ানোর ওপর জোর দেন শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে প্রায় ১৫০টি দেশের এএমআর নিয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা রয়েছে। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে এগুলো বাস্তবায়নের জন্য অর্থপূর্ণ সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগিতায় এএমআর গুরুত্ব পাওয়া উচিত।’

বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়েও এএমআর মোকাবিলায় শক্তিশালী বিনিয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করেন সরকারপ্রধান।

এএমআর পরিস্থিতির ওপর নজরদারি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মনিটরিং হলো এএমআর-এর বোঝা অনুধাবন ও মোকাবিলার চাবিকাঠি। ২০১৯ সাল থেকে বাংলাদেশ জিএলএএসএস প্লাটফর্মে রিপোর্ট করছে। এ বিষয়ে সব অংশীজন সম্পৃক্ত থাকা আবশ্যক। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পদ্ধতির মাধ্যমে শুরুতে রোগ নির্ণয় নিশ্চিত করা যেতে পারে।’

গবেষণা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে টানা তিন মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এএমআর নিয়ে উদ্বেগের প্রধান কারণ হলো, নতুন এএমআর ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা ‌ও উদ্ভাবনের অভাব। এজন্য বেসরকারি খাতের প্রণোদনা প্রয়োজন। কিছুট জটিল জীবাণুর জন্য অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স বাড়ার ঝুঁকি রয়েছে।

‘এএমআর বিষয়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। সে ক্ষেত্রে নভেম্বর মাসে বার্ষিক বৈশ্বিক সচেতনতা সপ্তাহ একটি উপযুক্ত উপলক্ষ হতে পারে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি এএমআর সূচক তৈরি করা হয়েছে। ওই সূচকগুলোর ওপর প্রতিবেদন তৈরি করে মানুষের স্বাস্থ্য, পশু স্বাস্থ্য, খাদ্যব্যবস্থা এবং পরিবেশকে প্রভাবিত করে এমন এএমআর নীতিগুলো উন্নত করা যেতে পারে।’

এএমআর ইস্যুতে সম্মিলিত কাজের জন্য ডব্লিউএইচও, এফএও, ওআইই এবং ইউএনইপি-কে ধন্যবাদ দেন শেখ হাসিনা।

এ বিভাগের আরো খবর