কাঠের গুঁড়ার সঙ্গে লাল রং মিশিয়ে বিক্রি হচ্ছিল মরিচের গুঁড়া নামে। একই কারখানায় ধানের কুঁড়ার সঙ্গে হলুদ রং মিশিয়ে হলুদের গুঁড়া এবং চালের গুঁড়ার সঙ্গে বাদামি রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছিল ধনিয়া গুঁড়া।
সিলেটের দক্ষিণ সুরমার লালাবাজারে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোক্তা অধিদপ্তর ও র্যাবের যৌথ অভিযানে এমন ভেজাল মসলা তৈরির কারখানার সন্ধান মেলে। প্রতিষ্ঠানের মালিককে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, ঝর্ণা মসলা মিল নামের ওই প্রতিষ্ঠানটি পাঁচ বছর ধরে সিলেটে ভেজাল মসলা তৈরি করে বিক্রি করে আসছে। এসব ভেজাল মসলা ভোররাতে ট্রাকে তুলে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হতো।
অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আমিরুল ইসলাম মাসুদ জানান, দুপুরে অভিযানে গিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানে ভেজাল মসলা তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তর ও র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পেছনের ডোবায় নেমে অধিকাংশ শ্রমিক সাঁতরে পালিয়ে যান। ফজলুল হক নামের এক শ্রমিক ধরা পড়েন।
আমিরুল জানান, কাঠেরসহ বিভিন্ন বস্তুর গুঁড়ার সঙ্গে রং মিশিয়ে ভেজাল মসলা তৈরির বিষয়টি স্বীকার করেন ফজলুল হক। এ সময় কারখানার মালিক নাজিম উদ্দিনের সঙ্গে ফোনে আলাপ হলেও তিনি কারখানায় আসেননি। নাজিমের ভাইয়ের উপস্থিতিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে মসলা কারখানাটিকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
ভবিষ্যতে এ কারখানায় আর কোনো ভেজাল মসলা উৎপাদন করা হবে না মর্মে মুচলেখা নেয়া হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা।
তিনি জানান, অভিযানের সময় কারখানাটিতে ২০০ বস্তা ভেজাল মসলা ও ১২ ব্যাগ ক্ষতিকর রাসায়নিক রং পাওয়া যায়। এ সময় এলাকাবাসীর উপস্থিতে মসলা ও রং ধ্বংস করা হয়।