বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বখাটেদের হুমকিতে অনিশ্চিত চার ছাত্রীর এসএসসি পরীক্ষা

  •    
  • ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৭:৩৭

ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে পারব আশা করছি। আর মেয়েদের পরীক্ষার হলে যেতে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।’

মাদারীপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এসএসসি পরীক্ষা দিতে এসে বখাটেদের উত্যক্তের শিকার হয় চারজন পরীক্ষার্থী। উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এক পরীক্ষার্থীর ভাইকে মারধর ও হুমকি দিয়েছে বখাটেরা। এরপর অন্য পরীক্ষায় অংশ নিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে যেতে ভয় পাচ্ছেন ওই শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গতকাল বুধবার বিকেলে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

ইউএনওর নির্দেশে রাতে ভাঙ্গা থানায় একটি লিখিত অভিযোগও হয়েছে।

ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে জানান, মোশাররফ মোল্লা নামে ওই অভিভাবক থানায় অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে বলা হয়, গত মঙ্গলবার মোশাররফ মোল্লার মেয়েসহ এসএসসির চারজন পরীক্ষার্থী ভাঙ্গা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে ইজিবাইকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মালীগ্রাম বাজার সংলগ্ন গোয়ালদী ব্রিজের উপরে এলে মালীগ্রামের বাসিন্দা রাজু শিকদার, হেমায়েত শিকদার, রোমান শিকদার ও সেলিম নামে চার বখাটে ইজিবাইকের গতিরোধ করে। এ সময় নানাভাবে তাদের উতক্ত্য করতে থাকে।

এ সময় ওই বাইকের চালক ও একজন পরীক্ষার্থীর ভাই হৃদয় মোল্লা তাদের বাধা দিলে বখাটেরা চড়-থাপ্পর ও কিল-ঘুষি মারে। এমনকি ইজিবাইকের চাবি ছিনিয়ে নেয়। এরপর তাদের চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে, বখাটেরা দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগে বলা হয়।

মোশাররফ মোল্লা বলেন, ‘আমাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলায়। এখন আমরা খুব দুশ্চিন্তায় আছি মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে। আমরা চাই অবিলম্বে বখাটেদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।’

রাজৈর উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাজাহান মোল্লা বলেন, ‘আমরা মাদারীপুরের বাসিন্দা হলেও আমাদের দৈনন্দিন নানা কাজে ভাঙ্গা যাতায়াত করতে হয়। আমাদের সন্তানেরা ভাঙ্গার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। অভিভাবকরা বিষয়টি আমাকে জানানোর পরে আমি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ওসি সাহেবকে জানিয়েছি। আমরা অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার ও বিচার চাই।’

এ বিষয়ে ভাঙ্গা উপজেলার দেওড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইকরাম আলী বলেন, ‘স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির মাধ্যমে ঘটনাটি জানতে পেরে আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানায় গিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছি। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারে এবং বখাটেদের যেন শাস্তি হয়’

ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি জানতে পেরেছি। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করতে পারব আশা করছি। আর মেয়েদের পরীক্ষার হলে যেতে আমরা নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর