সীমান্তে মিয়ানমারের সামরিক তৎপরতা মোকাবিলার যথেষ্ট সক্ষমতা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশটির সঙ্গে যুদ্ধ করে উন্নয়ন ধ্বংস করা উচিত হবে না।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাখাইন রাজ্যে সক্রিয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বেশ কয়েকবার মর্টার শেল ছোড়ে মিয়ানমার। এ নিয়ে চারবার দেশটির রাষ্ট্রদূত অং কিউ মোয়েকে তলব করে ব্যাখ্যা চেয়েছে বাংলাদেশ।
জবাবে বান্দরবান সীমান্তে গোলাবর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে মিয়ানমার এর দায় ঠেলে দিয়েছে আরাকান আর্মির দিকে।
সীমান্তে এমন তৎপরতা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের সঙ্গে…আমাদের সেনাবাহিনীর যথেষ্ট সক্ষমতা আছে। নিশ্চয়ই মোকাবিলা করতে পারব।
‘সারা জাতিও সরকারকে সহযোগিতা করবে। পশ্চিমা দেশ, তারা তো কাউকে জায়গা দিচ্ছে না।’
মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধ হলে উন্নয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ইউ কান্ট অ্যাফোর্ড ওয়ার (যুদ্ধের বোঝা সামলাতে পারবেন না)। যুদ্ধের মাধ্যমে উন্নয়ন ধ্বংস করতে পারি না।
‘তাদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। যুদ্ধ হবে না। মিয়ানমারও এখন যুদ্ধের মতো অবস্থায় নেই।’
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির নেতৃত্বাধীন গণতান্ত্রিক সরকারকে হটিয়ে সামরিক জান্তা ক্ষমতায় আসার পর থেকে অস্থিরতা চলছে মিয়ানমারে। দেশটিতে সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী।
রোহিঙ্গা অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ সম্প্রতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশ সীমান্তে নিয়মিত বিরতিতে মর্টার শেল ছোড়ে মিয়ানমার।
সর্বশেষ গত শুক্রবার বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের যুবক নিহত হন। আহত হয় রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন।