বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পাকিস্তানের চর হিসেবে অভিহিত করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাপরিষদ সদস্য আমির হোসেন আমু।
বুধবার রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বুধবার সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর স্মরণসভা আয়োজন করে মহিলা আওয়ামী লীগ।
সভায় প্রধান অতিথি আমির হোসেন আমু বলেন, ‘সাজেদা চৌধুরী দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। একসময় তাকে সংসদ উপনেতার পদে রাখা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু তাকে আমৃত্যু এই পদে রেখেছেন আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা।
‘সাজেদা চৌধুরী বিভিন্ন সময়ে বড় ধরনের ত্যাগ-তিতিক্ষার মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচয় দিয়েছেন। সাংগঠনিকভাবে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে তার অবদান অনস্বীকার্য।’
বিএনপির সমালোচনায় ১৪ দলের মুখপাত্র আমু বলেন, ‘বিএনপি পাকিস্তানপন্থি দল। তাদের মহাসচিব পাকিস্তানের চর। মির্জা ফখরুল তাদের আজ্ঞাবহ একজন মুখপাত্র বলেই পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলেন বলে মনে করেন।
‘বিএনপি জন্মলগ্ন থেকেই পাকিস্তানের সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করে আসছে। জিয়াউর রহমান জেলখানা থেকে যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে রাজনীতিতে এনেছেন। এরপর জামায়াতকে নিয়ে তারা রাজনীতি করে চলেছে, ক্ষমতার ভাগাভাগি করেছে।’
জামায়াতের সঙ্গে বিচ্ছিন্নতাকে ‘পলিটিক্যাল আইওয়াশ’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কৌশলে জামায়াতের সঙ্গে দূরত্ব দেখানো হচ্ছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। পাকিস্তানপ্রীতি থেকে বিএনপি বের হতে পারবে না। বিএনপির জন্মই পাকিস্তানের প্রেতাত্মা থেকে। তারা জামায়াতের সঙ্গে ছিল, থাকবে। দেশবিরোধী, স্বাধীনতাবিরোধীরা বরাবরই এক জোটে থাকবে।
‘দেশের মানুষ বিএনপির পাকিস্তানপ্রীতি জানে বলেই তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ভোটের পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিএনপি এখন রাজনৈতিক ধোঁয়াশা তৈরি করে দেশে বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।’
মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুনের সভাপতিত্বে স্মরণসভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগম কৃক। সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।