বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চিকনে কাজ না হলে মোটা লাঠি নিয়ে নামুন: গয়েশ্বর

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ২১:০৬

গয়েশ্বর বলেন, ‘আজ জনগণের একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। শান্তিপূর্ণ কমসূচি দিয়ে কিছু হবে না, সবার হাতে মোটা লাঠি থাকতে হবে। কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই। তবে আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।’

দেশে গণতন্ত্র রক্ষায় ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে চিকন লাঠিতে কাজ না হলে মোটা লাঠি নিয়ে নেতাকর্মীদের রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিএনপির গণতান্ত্রিক এ আন্দোলনে বিদেশি কূটনৈতিকদের ‘গণতন্ত্র উদ্ধারে’ তাদের পাশে থাকার আহ্বানও জানান গয়েশ্বর।

বুধবার মিরপুর ৬ নম্বর কাঁচাবাজারসংলগ্ন সড়কে দলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বিশ্বকে আহ্বান জানাই গণতন্ত্র উদ্ধারে পাশে থাকুন। আমাদের ক্ষমতা এনে দিতে হবে না। কে ক্ষমতায় আসবে তা জগণই ঠিক করবে। হাসিনার সব খেলা শেষ। সাহায্য আনতে গিয়ে পায়নি।

‘রাতে ভোট কাটারও তার লোক নাই। তাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করেই বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে। নিশ্চিতে ভোট দেয়ার প্রস্তুতি নিন। চিকন লাঠিতে কাজ না হলে মোটা লাঠি নিয়ে রাজপথে নামুন। ওরা পরাজিত হবেই।’

বেলা ২টার পর থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন এবং লাঠি ও স্টাম্পে জাতীয় ও দলীয় পতাকা টানিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশে আসতে শুরু করেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সমাবেশস্থলে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি বেড়ে যায়।

সমাবেশস্থলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো।

গয়েশ্বর বলেন, ‘আন্দোলনে জোয়ার শুরু হয়েছে, জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দিয়ে ঘরে ফিরে যাব না। মাত্র রিহার্সেল, ফাইলান খেলায় এখনও নামিনি। আন্দোলনে যারা রক্ত দিয়েছেন, তা বৃথা যাবে না। রক্ত দিয়েই গণতন্ত্র উদ্ধার করব।’

আওয়ামী লীগ ভোটে নির্বাচিত হয়নি দাবি করে তিনি তাদের কাছে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাবেন না বলেও জানান। বলেন, ‘আজ জনগণের একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। শান্তিপূর্ণ কমসূচি দিয়ে কিছু হবে না, সবার হাতে মোটা লাঠি থাকতে হবে। কাউকে আঘাত করার জন্য নয়, নিজেদের আত্মরক্ষার জন্যই। তবে আঘাত আসলে পাল্টা আঘাত করতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘নেতাকর্মীদের ওপর যারা হামলা করেছে, সেসব অপরাধীর জনসমক্ষে হাজির করেন, তা না হলে জনগণের কাঠগড়ায় আপনাদের বিচার হবেই। পাল্টা আঘাত শুরু করলে পালানের জায়গা পাবেন না। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে রাজনীতি ছেড়ে দেয়ার যে কথা বলছিলেন, সামনে আবার সেই দিন আসছে।’

প্রশাসনের উদ্দেশ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এখনও সময় আছে জনগণের কাতারে আসেন, সব অন্যায় মাফ হয়ে যাবে। ভয় পাবেন না, ভুল বোঝানো হচ্ছে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আপনাদের চাকরি চলে যাবে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কারও চাকরি যাবে না। হয় নিরপেক্ষ থাকুন, নইলে সরে দাঁড়ান।’

এই সরকারের অধীনে যারা নির্বাচন করতে চাইবে সেটা বিএনপির হোক বা অন্য কোনো দলের হোক, তাদের রাজপথে প্রতিহত করতে নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান গয়েশ্বর।

ভারতের হাইকমিশনার বিদায়ী ভাষণে কোনো দলের বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির হয়ে কাজ না করার যে কথা বলেছেন, সেটিও উল্লেখ করেন গয়েশ্বর। বলেন, ‘এখনই সাবধান হোন, কেউ আপনাদের পাশে নেই।’

সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ সমাবেশ বানচাল করার জন্য অনেক কারসাজি করা হয়েছে, আক্রমণ করা হয়েছে। কারণ বিএনপি জনগণের কল্যাণের কথা বলে।’

তিনি বলেন, ‘এবার সব ফয়সালা রাজপথে হবে। আন্দোলনের মুখে সরকারের বিদায় নিতে হবে। বুক পেতে দেব, রক্ত দেব, তবুও এই সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে দেব না।’

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুব মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী , কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমুদ্দিন আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য তাবিথ আউয়াল প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর