বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিয়ানমারের সঙ্গে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হয়নি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৯:৩৪

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তারা জোর করে আমাদের কাছে দিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আমাদের বৈরী আচরণ নেই। সেনাবাহিনী আমাদের জানিয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত থাকে। সবাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। এখনও তারা প্রস্তুতই আছে। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি, কাজেই কাউকে আর কাউন্ট করি না। এসব বিষয় আমরা কিছু মনে করি না। আমরা বীরের জাতি।’

মিয়ানমারের সঙ্গে এখনও যুদ্ধের মতো কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মনে করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তবে যেকোনো ধরনের ঘটনার জন্য সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে অন্য সব বাহিনী প্রস্তুত আছে বলেও জানান তিনি।

সচিবালয়ে বুধবার সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে বারবার মর্টার শেল এসে পড়ার ঘটনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে হঠাৎ করেই আমরা একটি মিটিং ডাক দিয়েছিলাম। একটা পরিস্থিতি আমরা দেখছি মিয়ানমারের সঙ্গে। মিয়ানমার মাঝে মাঝেই আরাকান আর্মির সঙ্গে যে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছে, সেই যুদ্ধের গোলাবারুদ আমাদের সীমান্তের কাছাকাছি এসে পড়ছে। এতে আমাদের জনগণ আতঙ্কিত হয়েছে, তারা ভাবছে যে, কী হচ্ছে।

‘এ জন্যই আমরা সভাটি করেছি। এখানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং প্রতিরক্ষা বাহিনীর সবাই ছিলেন। আমাদের সচিবরাও ছিলেন।’

সভার বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমরা দীর্ঘ আলোচনার পর এটাই সিদ্ধান্ত এসেছে যে, আমাদের জাতীয় পলিসি যেটা ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়’, আমরা কখনই যুদ্ধকে এনকারেজ করি না। আর যুদ্ধের মতো পরিস্থিতিও এখানে আসেনি। মিয়ানমার তাদের ইন্টারনাল কনফ্লিক্টটে যুক্ত।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে তারা জোর করে আমাদের কাছে দিয়ে দিয়েছে। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে আমাদের বৈরী আচরণ নেই। সেনাবাহিনী আমাদের জানিয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতির জন্য তারা সব সময় প্রস্তুত থাকে। সবাই যেকোনো পরিস্থিতির জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকে। এখনও তারা প্রস্তুতই আছে। আমরা যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছি, কাজেই কাউকে আর কাউন্ট করি না। এসব বিষয় আমরা কিছু মনে করি না। আমরা বীরের জাতি।’

তিনি বলেন, ‘উসকানি দেয়ার প্রচেষ্টা কে বা কারা করে এটা আমাদের জানা নেই। আমরা যেটা দেখছি, তারা নিজেরা নিজেরা যুদ্ধ করছে। আরাকান আর্মি কিন্তু তাদেরই। তাদের ভেতরের সমস্যা এটা।

‘শুধু আরাকান আর্মি নয়, বিভিন্ন সীমান্তে যুদ্ধ চলছে। আরাকান আর্মির সঙ্গে এখানে বড় ধরনের যুদ্ধ হচ্ছে। আমরা মনে করি, এটা তাদের ইন্টারনাল বিষয়, এখানে বাংলাদেশের কিছু করার নেই।’

বাংলাদেশ সীমান্তের ওপারে বেশ কিছুদিন ধরে বিদ্রোহী আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই চলছে মিয়ানমার সেনাদের। এ লড়াইয়ের মধ্যে মিয়ানমার সেনাদের ছোড়া বেশ কিছু মর্টার শেল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এসে পড়ে।

সর্বশেষ গত শুক্রবার রাতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়া সীমান্তে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া চারটি মর্টার শেল এসে পড়ে। এতে শূন্যরেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক যুবক নিহত হন। আহত হন রোহিঙ্গা শিশুসহ পাঁচজন।

বাংলাদেশের মধ্যে মিয়ানমারের ছোড়া মর্টার শেল পড়ার ঘটনায় এক মাসে চারবার দেশটির রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এনে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মিয়ানমার অবশ্য এ ঘটনার জন্য আরাকান আর্মি ও রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরসাকে দায়ী করেছে। তাদের দাবি, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্প্রীতি নষ্ট করতে সংগঠন দুটি ইচ্ছাকৃতভাবে এ ঘটনা ঘটাচ্ছে।

এ বিভাগের আরো খবর