নেপালকে হারিয়ে সাফ নারী ফুটবল শিরোপাজয়ী বাংলাদেশ দলে আছেন কলসিন্দুরের আটজন খেলোয়াড়। বিজয়ীর বেশে বুধবার দেশে ফেরা এই খেলোয়াড়দের পরিবারের হাতে ৪ লাখ টাকা পুরস্কার তুলে দেয়া হয়েছে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে পুরস্কার তুলে দেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মো. আনোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পুলক কান্তি চক্রবর্তী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফৌজিয়া নাজনীন।
এ সময় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ জয়ের বড় অংশীদার ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ফুটবলাররা। এ জন্য খেলোয়াড়দের উৎসাহ দেয়ার জন্য তাদের বাড়িতে গিয়ে প্রত্যেক পরিবারের হাতে ৫০ হাজার টাকা করে তুলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি খেলোয়াড়রা ময়মনসিংহে এলে জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও ময়মনসিংহ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে তাদের নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হবে।’
খেলোয়াড়দের পরিবারের হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুরস্কারের টাকা তুলে দেয়া হয়
জাতীয় দলের সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্ডা, শিউলি আজিম, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাজেদা খাতুন, মার্জিয়া আক্তারের বাড়ি ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুরে। এর মধ্যে তহুরা খাতুন ও সাজেদা খাতুন ছাড়া অন্যরা নেপালের সঙ্গে খেলায় অংশ নেন।
তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে ৪ লাখ টাকা পুরস্কার তুলে দেয়ার বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. মুহাম্মদ এনামুল হক।
তিনি বলেন, ‘সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ সাউথ এশিয়ার ফুটবলের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টের শিরোপাজয়ী মানে হলো এশিয়ার সেরা দল। সেই সেরা দল হিসেবে এবার আত্মপ্রকাশ হলো বাংলাদেশের। এ জয়ের বড় অংশীদার ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ফুটবলাররা। তাদের এ অর্জনে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৪ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হলো।’
গারো পাহাড়ের পাদদেশে নেতাই নদের পারে শান্ত জনপদটির নাম কলসিন্দুর। এখন আর অচেনা নেই গ্রামটি। ফুটবলের কল্যাণে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিত এখন কলসিন্দুর।