কুষ্টিয়ার ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিক হত্যা মামলায় পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। বাকি এক আসামির মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন করা হয়েছে।
বুধবার এ রায় দেয় বিচারপতি শেখ মো.জাকির হোসেন ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন সাজ্জাদ, মাজেদ, শুকচাদ, রাশিদুল ইসলাম ও মনছের আলী। আসামি রাশিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। যাবজ্জীবন সাজা হয় কালাই ওরফে জলিলের।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে এম ফজলুল হক খান ফরিদ। পলাতক রাশিদুলের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী মো. হাফিজুর রহমান খান।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখি ইউনিয়নের জোতপাড়া গ্রামের ভ্যানচালক আবু বক্কর সিদ্দিককে ২০১২ সালের ১০ জুন ডেকে মাঠে নিয়ে গিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করা হয়। পরদিন সকাল ৭টার দিকে জোতপাড়া কাঞ্চিখালি মাঠের মধ্যে থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় করা মামলার বিচার শেষে ২০১৭ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালত ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়ে রায় দেয়।
পরে নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত জানান, ডেথ রেফারেন্স এবং আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট বিভাগ সার্বিক বিবেচনায় এবং সাক্ষ্য প্রমাণ বিবেচনায় কালাই ওরফে জলিলের মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমিয়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে। একই সঙ্গে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন করে আদালত।