বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কুনিও হোসি হত্যা: জেএমবির ৪ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড বহাল

  •    
  • ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১১:৫১

কুনিও হোসি হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা চারজন হলেন মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং সাখাওয়াত হোসেন। খালাস পেয়েছেন ইছাহাক আলী।

জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে খুনের দায়ে নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) পাঁচ সদস্যের মধ্যে চারজনের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট।

একজনকে খালাস দিয়েছে উচ্চ আদালত।

বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেয়।

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা চারজন হলেন মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, লিটন মিয়া ওরফে রফিক, আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং সাখাওয়াত হোসেন। খালাস পেয়েছেন ইছাহাক আলী।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মোরসেদ। তাকে সহযোগিতা করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মান্নান, জাকির হোসেন মাসুদ ও নির্মল কুমার দাস। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আহসান উল্লাহ।

কুনিও হোসি হত্যার দায়ে জেএমবির পাঁচ সদস্যের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিল শুনানি গত ৪ সেপ্টেম্বর শুরু হয়।

২০১৫ সালের ৩ অক্টোবর সকালে জাপানি নাগরিক কুনিও হোসিকে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার আলুটারি এলাকায় গুলি করে হত্যা করেন জঙ্গিরা।

২০১৭ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকার এ হত্যার দায়ে পাঁচ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

পরে মৃত্যুদণ্ডের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি) হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন জেএমবির পীরগাছার আঞ্চলিক কমান্ডার উপজেলার পশুয়া টাঙ্গাইলপাড়ার মাসুদ রানা ওরফে মামুন ওরফে মন্ত্রী, একই এলাকার ইছাহাক আলী, বগুড়ার গাবতলী এলাকার লিটন মিয়া ওরফে রফিক, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মকর রাজমাল্লী এলাকার আহসান উল্লাহ আনসারী ওরফে বিপ্লব এবং গাইবান্ধার সাঘাটার হলদিয়ার চর এলাকার সাখাওয়াত হোসেন। দণ্ডপ্রাপ্ত বিপ্লব পলাতক। হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পান পীরগাছার কালীগঞ্জ বাজারের আবু সাঈদ।

চার্জশিটভুক্ত আট আসামির মধ্যে অন্য দুজন ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হওয়ায় তাদের মামলার অভিযোগ থেকে বাদ দিয়ে রায় ঘোষণা হয়।

জেএমবির ওই আট জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ৭ আগস্ট রংপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিমের আদালতে অভিযোগপত্র দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী।

পরে মামলাটি রংপুরের বিশেষ জজ নরেশ চন্দ্র সরকারের আদালতে স্থানান্তর হলে ২০১৬ সালের ১৫ নভেম্বর সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।

এ বিভাগের আরো খবর