ঢাকার ধামরাইয়ে এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার হওয়া শিক্ষার্থীরা নিজ স্কুলে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এসময় তারা শিক্ষককেও লাঞ্ছিত করেছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।
ধামরাই ল্যাবরেটরি স্কুলের শিক্ষক মোস্তফা হাদীউজ্জামান মঙ্গলবার দুপুরে এ বিষয়ে ধামরাই থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বদিউজ্জামান এসব নিশ্চিত করেছেন।
পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের অভিযোগে ধামরাইয়ের কুশুরিয়া ইউনিয়নের কুশুরা ইউনিয়নের নবযুগ কলেজ কেন্দ্রে ২ জন ও যাদবপুর ইউনিয়নের যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ১৯ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকী এসব কেন্দ্রে গিয়ে তাদের বহিষ্কার করেন।
এ ঘটনার পর বহিষ্কার হওয়া ছাত্রসহ তিনজন ধামরাই ল্যাবরেটরি স্কুলে গিয়ে ভাঙচুর চালায় ও শিক্ষক হাদীউজ্জামানকে লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
হাদীউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যাদবপুর বিএম উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আমার স্কুলের শিক্ষার্থীরা এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে। গতকাল (সোমবার) পরীক্ষা চলাকালে অসদাচরণের অভিযোগে আমার স্কুলের ছাত্র হযরত আলীকে বহিষ্কার করেন ইউএনও।
‘বিকেলে আমাকে ও অন্যান্য শিক্ষকদের দোষারোপ করে স্কুলে এসে ভাঙচুর চালায় হযরত আলী এবং তার দুই বন্ধু আবিদ হোসেন খান ও দেওয়ান আল আমিন। তারা আমাকে পাঞ্জাবি ধরে টেনেহিঁচড়ে লাঞ্ছিত করে। আমিসহ অন্য শিক্ষকদের গালমন্দ করে। স্কুল বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।’
এসআই বদিউজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গতকাল ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুলের জানালা ভাঙচুর করার বিষয়টি নিশ্চিত হই। ওই স্কুলের দুইজন ছাত্রকে পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বহিষ্কার করার ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের হাত দিয়েই জানালার কাঁচ ভেঙেছেন।
‘তারা দুজন সাভারের সুপার হাসপাতালে ভর্তি। মূলত শিক্ষকরা কেন বহিষ্কারের প্রতিবাদ করেনি এই ক্ষোভ থেকেই তারা এটি ঘটিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষকরা বিষয়টি মিমাংসা করতে চাইছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’