বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এত টাকায় ইভিএম না কিনে কোটি মানুষকে সহায়তা করুন: জাপা

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৬:২৩

নির্বাচন কমিশনের বিবেক ও দেশপ্রেম নেই। যখন ডলারের অভাবে জ্বালানি তেল কিনতে পারে না দেশ, দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারণে দেশের মানুষের হিমশিম অবস্থা, দেশের মানুষ বাজার করতে পারে না, ওষুধ ও শিশুখাদ্য কিনতে পারছে না, এমন বাস্তবতায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইভিএম মেশিন কেনার কোনো যুক্তি নেই: চুন্নু

অর্থনীতি চাপে থাকার মধ্যে দুই লাখ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএম কিনতে পৌনে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করায় নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেছেন, ‘সরকার মানুষের কষ্টের টাকায় ইভিএম না কিনে এক কোটি দুঃস্থ ও বেকারকে সহায়তা করতে পারে।’

মঙ্গলবার দলের চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় এক মতবিনিময়ে এমন মন্তব্য করেন তিনি। দলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মরণে প্রতিষ্ঠিত ‘পল্লীবন্ধু পরিষদ’ এর সঙ্গে ওই মতবিনিয়ম হয়।

চুন্নর মতে, নির্বাচন কমিশনের বিবেক ও দেশপ্রেম নেই। তিনি বলেন, ‘যখন ডলারের অভাবে জ্বালানি তেল কিনতে পারে না দেশ, দ্রব্যমূল্য উর্ধগতির কারণে দেশের মানুষের হিমশিম অবস্থা, দেশের মানুষ বাজার করতে পারে না, ওষুধ ও শিশুখাদ্য কিনতে পারছে না, এমন বাস্তবতায় প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা দিয়ে ইভিএম মেশিন কেনার কোনো যুক্তি নেই।

‘প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত গরিবের ঘোড়া রোগ। রাজনৈতিক দলগুলোর বিরোধিতা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশনের ইভিএম কেনার সিদ্ধান্ত প্রমাণ করে, নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ নয়।’

ইভিএম নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেছে বলেও জানান জাপা মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘সকল রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেয়া হলো। শাসকদল শুধু ইভএমে ভোট নেয়ার পক্ষে কথা বলেছে। সরকারের শরিক কিছু দলগুলো বিভিন্ন শর্ত আরোপ করে ইভিএম চেয়েছে। আর দেশের বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজ ইভিএম-এ ভোট গ্রহণের বিপক্ষে মতামত দিয়েছে। যদি রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের মতামনের গুরুত্ব না থাকে তাহলে কেন আমাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করলেন? নির্বাচন কমিশনের আচরণ প্রমাণ করে তারা নিরপেক্ষ নয়।’

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগপ্রাপ্তরা সবাই আওয়ামী লীগের শাসনের সুবিধাভোগী বলেও দাবি করেন চুন্নু। বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন হচ্ছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের প্রত্যেককে আমরা চিনি। এরা সবাই আওয়ামী লীগের শাসনামলে ভালো নিয়োগ, প্রমোশন এবং পোস্টিং পেয়েছেন।’

ইভিএমের দোষ নেই, দোষ

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন বা ইভিএমের বিরোধিতা করার কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এই যন্ত্রের দোষ না থাকলেও যারা এটি পরিচালনা করে, তাদের দোষ রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘ইভিএমের কোনো দোষ নেই, কিন্তু যারা ইভিএম পরিচালনা করবে তাদের তো দোষ আছে। তাছাড়া, ইভিএম-এ অনেক সময় আঙ্গুলের ছাপ মেলে না। এতে ঝামেলা সৃষ্টি হয়, ভোট গ্রহণে বিলম্ব হয়।

‘দেশের মানুষ এখনো ইভিএম-এ ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুত নয়। তাছাড়া দেশের মানুষ মনে করে, ইভিএম হচ্ছে নিরবে ভোট কারচুপির মেশিন।’

জাপা নেতার দাবি, পাকিস্তানসহ বিশ্বের অনেক দেশই ইভিএমে নির্বাচন বন্ধ করেছে। ভারতেও সমালোচনা হচ্ছে যন্ত্রটি নিয়ে।

দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা নুরুল আজহারের সভাপতিত্বে মত বিনিময়ে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান খান, এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

এ বিভাগের আরো খবর