বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু হত্যায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুজন হাইকোর্টে খালাশ

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ১৫:৩৯

২০১০ সালের ২৭ জুলাই সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রোমেলের ছেলে পাঁচ বছর বয়সী ছেলে তাছিন মিয়া ওরফে অর্ণব পাশের পীরগাছা গ্রামে নানা নজরুল ইসলাম মধু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়। শিশুটির নানার সঙ্গে বিরোধের জেরে এই শিশুটিকে হত্যা করা হয়।

গাইবান্ধায় এক শিশুকে হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির দণ্ড বহাল রাখলেও দুই জনকে খালাস দিয়েছে হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স এবং আসামিদের আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারপতি এএনএম বসির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রায় দেয়।

আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও এ কে খান উজ্জল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।

পরে রায়ের বিষয়ে সুজিত চ্যাটার্জি বলেন, ‘তিন আসামির মধ্যে জাহিদের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছে হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাভেল ও রুবেলকে খালাস দিয়েছে।’

২০১০ সালের ২৭ জুলাই সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম রোমেলের ছেলে পাঁচ বছর বয়সী ছেলে তাছিন মিয়া ওরফে অর্ণব পাশের পীরগাছা গ্রামে নানা নজরুল ইসলাম মধু মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়।

মামলার প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাছিনের নানার সঙ্গে পূর্ব বিরোধের জেরে জাহিদ, পাভেল ও রুবেল ওই দিন তাছিনকে অপহরণ করেন। ওই রাতেই তাছিনের মাকে ফোন করে জহিদ ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মুক্তিপণ না পেয়ে তারা তাছিনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ওই গ্রামের এক ব্যক্তির পুকুরের কচুরি পানার নিচে তাছিনের লাশ লুকিয়ে রাখে।

ঘটনার পরদিন ২৮ জুলাই তাছিনের বাবা সদর থানায় ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এই মামলায় ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রত্নেশ্বর ভট্টাচার্য। বাকি ৭ জনকে দেয়া হয় খালাস।

পরে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। পাশাপাশি আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

আসামিদের মধ্যে দুই জনকে কোন যুক্তিতে খালাস দেয়া হয়, সে কারণ জানাননি আইনজীবী।

এ বিভাগের আরো খবর