বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আমি পাড়াইয়া মানুষ মাইরালাই: উপজেলা চেয়ারম্যান

  •    
  • ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০৯:০৫

‘তোমারে কী ভয় দেখামু? তুমি জানো, আমি পাড়াইয়া মানুষ মাইরালাই। আমি পোলাপান লাগাইয়া দিসি, একদম ধইরা লইবা আইব, পাড়াইয়া মাইরালামু। ওই মালাউনের বাচ্চা, তোরে আমি কী ভয় দেখামু? তুই তো একটা তেলাপোকা।’

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার ‘পাড়াইয়া মাইরা’ ফেলার হুমকি দিয়েছেন শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের এক নেতাকে। মোবাইলে দেয়া এমন হুমকির একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

তিন মিনিট ১৬ সেকেন্ডের ওই অডিওতে আওয়ামী লীগ নেতা হেলো সরকার ও শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের গাজীপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহার মধ্যে কথোপকথন শোনা যায়। অডিওতে অমিত সাহাকে গালাগালি করে হুমকি দিতে শোনা যায় হেলো সরকারকে।

অমিত সাহাকে ফোন করে গালাগালির বিষয়টি স্বীকার করেছেন হেলো সরকার।

অডিও রেকর্ডে হেলো সরকারকে বলতে শোনা যায়, ‘তুমি কী আমারে ভালো কইরা চিনো? ভালো কইরা চিনলে আমার ছবিতে লাল কালি দিছ কেন? আমি একজন উপজেলার মর্যাদাশীল চেয়ারম্যান। তুমি আমার ছবির মধ্যে দাগ দিছ, এইটার জন্য তোমার কী হইব তুমি জানো?’

এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে অমিত সাহা ‘আমারে ভয় দেখাইয়েন না’ বলতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন হেলো সরকার। উত্তরে তিনি বলেন, ‘তোমারে কী ভয় দেখামু? তুমি জানো, আমি পাড়াইয়া মানুষ মাইরালাই। আমি পোলাপান লাগাইয়া দিসি, একদম ধইরা লইবা আইব, পাড়াইয়া মাইরালামু। ওই মালাউনের বাচ্চা, তোরে আমি কী ভয় দেখামু? তুই তো একটা তেলাপোকা।’

মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন তিনি।

এই বিষয়ে জানতে চাইলে অমিত সাহা বলেন, ‘শেখ রাসেল শিশু-কিশোর পরিষদ সংগঠনটির মধ্যে মতপার্থক্য আছে। হেলো সরকার নিজেকে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি দাবি করেন। এইটা মিথ্যা কথা। তিনি সভাপতি না।

‘এ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট করি। তাতে উনি (হেলো সরকার) ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ৮টার দিকে আমাকে কল দিয়ে গালাগালি করেন, হুমকি দেন। এই ঘটনায় আমি গত রোববার গাজীপুরের বাসন থানায় একটি জিডিও করেছি।’

অডিওর সত্যতা স্বীকার করে মুজাহিদুর রহমান হেলো সরকার বলেন, ‘আমার ছবিতে লাল কালি দিয়ে ফেসবুকে দেয়ায় রাগ হইছিল। একজন উপজেলা চেয়ারম্যানকে অপমান করায় ক্ষিপ্ত হয়ে কথাগুলো বলছি। আমি রাগের মাথায় এসব কথা বলছি। ওই ছেলে এসব রেকর্ড করে রাইখা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিব ভাবিনি।’

এ বিভাগের আরো খবর